অমল তালুকদার,পাথরঘাটা (বরগুনা) : পাথরঘাটার কালমেঘা মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঝুকিপূর্ন ভবনে পাঠদান চলছে। ৬৪ বছরের পুরানো জড়াজীর্ন ভবনটির নির্মান কাজে এগিয়ে আসছেনা কেউ।

গতকাল ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে ছাদের পলেস্তার খসে পরছে। প্রায় প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের মাথায় কিংবা শরীরে ভেঙে পরছে ছাদের সিমেন্ট-বালু আর ইটের টুকরো। অনেক ভাঙা স্থান থেকে রড উকি মেরে আছে।

১৯৪২ সালে এই বিদ্যালয়টি মরহুম আহেরউদ্দিন তালুকদার প্রতিষ্ঠা করেন। তার একক প্রচেষ্টায় ১৯৫৩ সালে দ্বিতল ভবন নির্মিত হয়। সাবেক সাংসদ গোলাম সরোয়ার হিরুর বাবা এবং মরহুম সাবেক সাংসদ গোলাম সবুর টুলুর চাচা ওই আহেরউদ্দিন। দু-দুজন সংসদ সদস্য এই বাড়ি থেকে নির্বাচিত হওয়ার পরেও বিদ্যালটির নতুন ভবন নির্মান করার কখনও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বর্তমানে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সহ মোট ১৭জন ষ্টাফ আর ৭ শত শিক্ষার্থী রয়েছে। সম্প্রতি ৩ জন শিক্ষক অবসরে গেছেন । ছাত্র/ছাত্রীর জীবন নিয়ে চলছে এক ধরনের তামাসা।

প্রধান শিক্ষক শহিদুর রহমান জানান,আষাঢ়-শ্রাবন মাসের বর্ষা মৌসুমে ছাত্র/ছাত্রীরা আতংকে থাকে।ওই সময় ভবন থেকে পানি চুইয়ে পরে। পুরানো জড়াজীর্ন ভবন ভিজা থাকলে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও বেশী, যে কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তখন কমে যায়।

এই বিদ্যাপীঠ থেকে ২০১৫ সালে ৭৫জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ৬৮ জন কৃতকার্য হয়। একই বছর জেএসসি পরীক্ষায় ১৩৪ চন অংশ নিয়ে ১৩২জনই উর্ত্তীর্ন হয়।২০১৬ সালে জেএসসি পরীক্ষায় ১৪৯ জন অংশ নিয়ে ১৩৩জনই কৃতকার্য হয়। একই বছর ৬৬জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন কওে ৪৫জন কৃতকার্য হয়। বর্তমানে ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার ব্যাচে ৮৫জন পরীক্ষা দিচ্ছে বলে বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ গোলাম নাসির জানান, বর্তমান সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমনের কাছে বিষয়টি জানানো হলেও কোনো কাজ হয়নি। (বরগুনা-ঝালকাঠী) সংরক্ষিত আসনের সাংসদ নাসিমা ফেরদৌসি সম্প্রতি আমাদের আবেদনে সুপারিশ করেছেন বলে গোলাম নাসির জানান।

এদিকে অভিভাবকের পক্ষ থেকে একাধিক ব্যক্তি এপ্রতিনিধির মাধ্যমে জোড় দাবী তোলেন নতুন ভবনের জন্য। তারা বলেন আমাদের সন্তানদের জীবন এখন ঝুকিপুর্ন।

(এটি/এসপি/মার্চ ২৭, ২০১৭)