স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, খাদ্যে পুষ্টিমান বাড়াতে দেশব্যাপী গণসচেতনতামূলক সমন্বিত কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে জাতীয় পুষ্টি পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা এবং দশ বছর মেয়াদী নতুন জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নাসিম বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার কারণে যথাযথ পুষ্টি গ্রহণ থেকে বঞ্চিত। অন্যদিকে ধনীরা সচেতনতার অভাবে সঠিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার গ্রহণ করে না। এ কারণেই দারিদ্র বিমোচনের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য শক্তিশালী ও কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

সভায় জাতীয় পুষ্টি পরিষদের জন্য পৃথক কার্যালয় নির্মাণ এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, আগামীতে সারাদেশে পুষ্টিবিদ নিয়োগের উদ্যোগ নেবে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্যখাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এমনকি প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। নতুন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হলে জনগণের পুষ্টিমান উন্নয়নেও বাংলাদেশ বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বেসরকারি সহযোগী সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজ পরিচালনায় নীতিমালা সংক্রান্ত এক সভায় নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ থেকে অন্যান্য বেসরকারি কলেজে মাইগ্রেশনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের অনুমতি দেয়ার লক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

(ওএস/এএস/মার্চ ২৮, ২০১৭)