স্পোর্টস ডেস্ক : শুরুতে ছিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। তখনও আশা ছিল বৃষ্টির পর ম্যাচ মাঠে গড়াতে পারে; কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির তোড় বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ৯টা, স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৯টায় বৃষ্টির কারণে খেলা বাতিল ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট।

বৃষ্টির আগে শ্রীলঙ্কার ইনিংসটা ভালোভাবেই শেষ হয়। থারাঙ্গার হাফ সেঞ্চুরি আর মেন্ডিসের সেঞ্চুরিতে ভর করে শেষ পর্যন্ত ৪৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩১১ রান তোলে লঙ্কানরা। শেষ মুহূর্তে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করেন বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ। এরপর সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে ৩১২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়।

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা প্রস্তুত হচ্ছিলেন ব্যাট করতে নামার জন্য। টাইগারদের লক্ষ্য ছিল, সিরিজ জয়; কিন্তু বৃষ্টি সেটা আর হতে দিল না। মাঝে প্রায় ২০-২৫ মিনিট যে মুষলধারে বৃষ্টি পড়েছে, সেটা শেষ পর্যন্ত কমে এলেও পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কম। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়ও ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল ডাম্বুলার রণগিরি স্টেডিয়ামে।

যখন বৃষ্টি থামো থামো করছিল, তখন আম্পায়াররা মাঠে নামেন পরিদর্শনের জন্য। ওই সময় পুরো আউটফিল্ড ছিল কভারে ঢাকা। তখন যদি এক ঘণ্টার মধ্যেও খেলা শুরু করা যেতো, তাহলে ২০/২৫ ওভারের ম্যাচ হলেও হতে পারতো; কিন্তু পরবর্তীতে আবার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়।

আম্পায়াররা ছাতা হাতে নিয়ে মাঠে ঢুকেছিলেন। বেরিয়ে গেলেন ছাতা মাথায়। এর মধ্যেই বিদ্যুৎ চমকাতে শুরু করে। মেঘের গর্জনও শুরু হয়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, কখন বৃষ্টি থামবে, কখন আবার খেলা শুরু করা যাবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফলে এই ম্যাচটি বাতিল বলেই সিদ্ধান্ত দিলেন ম্যাচ রেফারি।

ম্যাচের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। সুতরাং, ম্যাচটি পুনরায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কলম্বোয় শেষ ম্যাচেই হবে সিরিজ নির্ধারণ। তবে, এটা ঠিক, বাংলাদেশ আর সিরিজ হারতেছে না। ওই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা জিতলে সিরিজ হবে ড্র।

(ওএস/এএস/মার্চ ২৮, ২০১৭)