লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগের দলীয় কর্যালয় হামলা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননার করার ঘটনায় জেলা আওয়ামীলীগের হস্তক্ষেপে ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা পাপেল মাহমুদ।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের ব্যক্তিগত কার্যালয় কিছু নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপন এক বৈঠকের এ সিদ্ধান্ত হয়। ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার না করে ক্ষমা ক্ষমা চাওয়ার সিদ্ধান্ত করায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীদের মাছে চরম হতাশ দেখা দেয় ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নয়নের বিরুদ্ধে।

স্বেচ্ছাসেবকলীগের দূলীয় সূত্র জানা যায়, ২৫ মার্চ রাতে ছাত্রলীগের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পাপেল মাহমুদ দলবল নিয়ে এসে উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যালয়ে হামলা করে কার্যালয়ের ভেতরে ঝুলিয়ে রাখা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করে অবমাননা করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। এসময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ছিল। ঘটনার পর থেকে স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা বিচার দাবি করে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোক করে আসছে। পরে ঘটনার চার দিন পর মঙ্গলবার রাতে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের ব্যক্তিগত কার্যালয় স্বেচ্ছাসেবলীগের জেলা, উপজেলা, ছাত্রলীগের জেলা, উপজেলা ও উপজেলো আওয়ামীলীগের কিছু নেতাদের নিয়ে বৈধকে বসে। এসময় উভয়রে কথা শুনে। এতে ছাতলীগের সভাপতি পাপেল মাহমুদ অভিযুক্ত প্রমাতি হয়। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করে সঠিক ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা না করে জেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক নেতাকে দিয়ে রায়পুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবলীগের নেতাদের কাছে ক্ষমা চেতে বলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেন।

উপজেলা জেলা স্বেচ্ছাসেবলীগে যুগ্নআহ্বায়ক কৌশিক আহম্মেদ সোহেল বলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক ছাত্রলীগ নেতাকে আমার কাছে ক্ষমা চাইতে ও ভাংচুর করা অফিসটি মেরামত করতে দিতে বলেন। পরে সে আমার কাছে ক্ষমা চায়। তবে ভাংচুর করা অফিসটি আমি নিচেই মেরামত করবো বলে জানিয়ে দিই। জেলা আওয়ামীলীগের হস্তক্ষেপ উভয় উভয়রে সাথে মীমাংসা করে দেয়।

(এআরএস/এসপি/মার্চ ২৯, ২০১৭)