ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা উল্লাস প্রকাশ করেছেন। বুধবার নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ডঃ শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিভাগের ৮ জন শিক্ষক এবং ১২৮ জন ছাত্র-ছাত্রী স্থাপনা নির্মাণের বাস্তব জ্ঞান অর্জনের জন্য নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা সফর করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডঃ খোরশেদুল আহমেদ কবীর, প্রকল্প পরিচালক ডঃ সৌকত আকবর, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মাহমুদ হোসেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ আব্দুর রাজ্জাক, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম জিল্লুর রহমান, প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস প্রমুখ।

প্রকল্পের কর্মকর্তারা নির্মাণাধীন স্থাপনার খুঁটিনাটি বিষয়াদি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাখ্যা করেন এবং প্রকল্প এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখান। এসময় প্রকল্প পরিচালক ডঃ সৌকত আকবর বলেন, তোমরা শিক্ষার্থীরা লেখা পড়া শেষ করে এই প্রকল্পে কাজ করবে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এই আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ডঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্র্থীদের স্থাপনা সম্পর্কে বাস্তব সম্মত জ্ঞানদানের জন্য বিভাগের অনার্স ও মাষ্টার্সের সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের এখানে আনা হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। এসময় নির্মাণ কাজে কর্মরত রাশিয়ান চীফ ইঞ্জিনিয়ার কোসলেভ ইউরি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমি অপেক্ষা করব আপনারা লেখাপড়া শেষ করে এখানে কাজে যোগ দিবেন।

এ ব্যাপারে সফররত অনার্স চতুর্থ বর্ষে ছাত্র সাদ্দাস সারওয়ার রাকিব উল্লাস প্রকাশ করে বলেন, দেশে নিউক্লিয়ার সেক্টরের উন্নয়নে আমরা গর্বিত। বিশ্বের বড় দেশগুলোতে বিদ্যুতের বেশীরভাগ চাহিদা পূরণ করে পারমাণবিক বিদ্যুৎ। আমরা আশাবাদী নিজেরাই একদিন এই ধরণের প্লান্ট তৈরি করতে পারব। এই বর্ষের ছাত্র লাবিবুজ্জামান বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ নিউক্লিয়ার জগতে প্রবেশ করছে। এটাই সবচেয়ে বেশী আশার বিষয়। শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন নয়, এখন আমরা চিকিৎসা ব্যবস্থায় নিউক্লিায়ার মেডিসিন এবং কৃষিকাজেও নিউক্লিায়ার ব্যবহার করতে সক্ষমতা অর্জন করবো। তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী কাজী কামরুন্নাহার অনন্যা বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুতে খরচ অনেক কম। যেকারণে বাংলাদেশের উন্নয়নে এই প্রকল্প ভাল ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডঃ খোরশেদুল আহমেদ কবীর শিক্ষার্থীদের এই বিষয়ে রাশিয়ায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও রাশিয়ান সরকারের প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন।

(এসকেকে/এএস/মার্চ ২৯, ২০১৭)