মোড়েলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে পানগুছি নদীতে ইঞ্জিনচালিত খেয়া ট্রলার ডুবি ঘটনার তৃতীয় দিনে সকাল থেকে ভেঁসে উঠছে একের পর এক লাশ। বাংরাদেশ- ভারত নৌপ্রটোকল ভূক্ত এই চ্যানেলটির বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে দুই শিশুসহ ৭জনের লাশ।  

নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীদের ১৪টি টিম ট্রলার নিয়ে পানগুছি ও বলেশ্বর নদীর বিভিন্ন এলাকায় আরো লাশের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে গত ৩দিনে উদ্ধার হলো ১২টি লাশ। এখনো নিঁখোজ রয়েছে ১০ জন।

সকালে এসব লাশ উদ্ধারের পর স্বজন হারাদের আহাজারিতে মোড়েলগঞ্জের পানগুছি নদীর দুই তীরে শোকার্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এখনো অনেকে তাদের স্বজনদের লাশের সন্ধানে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটাছুটি করে চলেছেন। এদিকে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে উদ্ধারকৃত লাশ পরিবহন ও দাফনের জন্য ১৫ হাজার টাকা দেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে মোড়েলগঞ্জের ছোলবাড়ীয়া ঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে উপজেলা সদরের পুরাতন থানা ঘাটে যাবার পথে পানগুছি নদীতে ইঞ্জিনচালিত ওই খেয়া ট্রলারটি ডুবে যায়।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার হওয়া ৭টি লাশের মধ্যে দু’জনের পরিচয় এখনো মেলেনি। অন্য ৫জনের পরিচয় মিলেছে, তারা হলো মোড়েলগঞ্জের কাছিঘাটা গ্রামের শিশু নাজমুল (৬), ভাশান্দল গ্রামের শিশু সাজ্জাত(২), কাছিকাটা গ্রামের শেখ আব্দুল মজিদ (৬৫), পোলেরহাট গ্রামের আনছার আলী হাওলাদার (৫৫) ও কালিকাবাড়ী গ্রামের রফিক শেখ (৩০)।

ট্রলারডুবিতে এখনো ১০ জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে এখনো নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা স্থানীয়দের সাথে নিয়ে নদীতে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ট্রলার ডুবির ঘটনায় বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোমিনুর রশিদকে প্রধান করে গঠিত পাঁচ সদস্যে তদন্ত কমিটি আজ জেলা প্রশাসকের কাছে তাদের তদন্ত রির্পোট দাখিলের কথা রয়েছে।

(এসএকে/এসপি/মার্চ ৩০, ২০১৭)