শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ মাহমুদপুর গ্রামের কবিরাজি চিকিৎসক সেকেন্দার সরদারের (৬০) মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যার সময় পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর সদর থানার চর গোবিন্দপুর এলাকায় তার মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যরা ধারণা করছেন তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কবিরাজী চিকিৎসার সুবাদে বিভিন্ন ধরনের লোকজন সেকেন্দার সাদারের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। বুধবার বিকেলে দুইজন অপরিচত লোক মোটরসাইকেল নিয়ে সেকান্দারে বাড়িতে আসে। এরপর তারা সেকেন্দার সরদারকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যার সময় পরিবারের কাছে খবর আসে পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর সদর থানার চর গোবিন্দপুর এলাকায় বর্জাঘাতে সেকেন্দার সরদার মারা গেছে। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দেখতে পায় সেখানে একটি মাদ্রাসার সামনে খাটের উপর সেকেন্দার সরদারের মরদেহ পড়ে রয়েছে। তার মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে মাদারীপুর সদর থানার পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।

সেকেন্দর সরদারের পুত্রবধু লাকি আক্তার বলেন, বিকেলে দুইজন অপরিচত লোক মটরসাইকেলে এসে আমার শ্বশুড়কে নিয়ে যায়। পরে খবর পাই আমার শ্বশুর বজ্রাঘাতে মারা গেছে। কিন্তু তার শরীরে বজ্রাঘাতের কোন আলামত পাওয়া যায়নি।

সেকেন্দর সরদারের বড় ভাই আব্দুল মোতালেব সরদার বলেন, সন্ধ্যার সময় খবর পেয়ে গিয়ে দেখি পাশ্ববর্তী চরগোবিন্দপুর ফরজী বাড়ি মাদ্রাসার সামনে একটি খাটের উপর আমার ভাইর মরদেহ পড়ে রয়েছে। স্থানীয়রা আমাদের জানিয়েছেন, সেকেন্দার সরদার ঝড়ের সময় রাস্তার উপর মৃত অবস্থায় পড়েছিল। তাকে উদ্ধার করে মাদ্রাসার সামনে খাটের উপর রাখা হয়।

মাহমুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ঢালী বলেন, আমরা প্রথমে শুনেছি সেকান্দার সরদার বজ্রপাতে মারা গেছেন। পরবর্তিতে তার পরিবারের সদস্যরা জানান তাকে মোটর সাইকেলে করে দুই ব্যক্তি এসে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু সংবাদ আসে। তার মৃত্যু নিয়ে একটি ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা সম্ভব হবেনা।

(কেএনআই/এএস/মার্চ ৩০, ২০১৭)