আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় না বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। এর মাধ্যমে সিরিয়ার ব্যাপারে নীতি পরিবর্তনের আভাস দিল নয়া মার্কিন প্রশাসন।

নিকি হ্যালি বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের অগ্রাধিকারভিত্তিক কাজগুলো থেকে আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়টিকে সরিয়ে দিয়েছি। সিরিয়ার জনগণের জন্য সত্যিকার অর্থে যে কাজ করবে সে দেশটির ক্ষমতায় থাকবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত সরাসরি বলেন, “সাবেক প্রশাসন আসাদকে যেভাবে দেখত আমাদেরকে ঠিক সেভাবেই দেখতে হবে- এমন নয়। আসাদ কবে ক্ষমতা থেকে সরে যাবেন তা দেখার জন্য প্রহর গোণা আমাদের কাজ নয়।”

এর আগে বৃহস্পতিবারই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেন, প্রেসিডেন্ট আসাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে সিরিয়ার জনগণ। তুরস্ক সফররত টিলারসন আঙ্কারায় তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট আসাদের ক্ষমতায় থাকা না থাকার সিদ্ধান্ত সিরিয়ার জনগণের পক্ষ থেকে আসা উচিত।”

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বিগত বছরগুলোতে সবগুলো আন্তর্জাতিক ফোরামে ওবামা প্রশাসন যে মন্ত্রটি জপতো তাহলো ‘আসাদকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে’। কিন্তু এখন ওয়াশিংটন বলছে, আসাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে সিরিয়ার জনগণ।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, ২০১১ সালে সিরিয়া সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান বার বার একথা বলে এসেছে যে, প্রেসিডেন্ট আসাদ ক্ষমতায় থাকবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত নেয়ার একমাত্র অধিকার রয়েছে দেশটির জনগণের।

(ওএস/এসপি/মার্চ ৩১, ২০১৭)