প্রবীর সিকদার


শ্রদ্ধাভাজন আপা, আপনি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি, বরকত নামের এক দুর্বৃত্ত আপনার পা ছুঁয়ে সালাম করেছে! কী ভয়ঙ্কর কথা! আপনার কঠোর নিরাপত্তাবলয়ে কাদের আশকারায় ঢুকে পড়ে ওই দুর্বৃত্ত!

আপা, মুক্তিযুদ্ধে বাবাসহ স্বজনদের হারিয়েছি। সেই সময় থেকেই আমার শিশুমনে মুজিবই আমার বাবা। একাত্তরে পাকি হায়েনারা বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। আর তাঁর খোঁজ পাইনি। নিখোঁজ বাবার প্রথম মৃত্যু সংবাদ পাই পঁচাত্তরে, যেদিন দেশীয় হায়েনারা বঙ্গবন্ধু মুজিবকে খুন করেছিল।সেই দিন থেকেই বাবাহারা আমার স্বজনের সংখ্যা বেড়ে যায়; আপনি হয়ে যান আমার বড় বোন।

হৃদযন্ত্র জুড়ে থাকা আমার বোন শেখ হাসিনা ২০০১ সালে প্রমাণ করেন, আসলেই আমি আপনার ভাই। এই তো সেদিনের কথা, ২০০১ সালের ২০ এপ্রিল।আমি তখন দৈনিক জনকণ্ঠের সংবাদকর্মী। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে লেখালেখি করায় আমার ওপর নৃশংস বোমা হামলা হয়েছিল ফরিদপুরে। আমার মৃত্যু নিশ্চিত করতে আমাকে গুলি করা হয়েছিল, চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়েছিল। আপনিই তখন প্রধানমন্ত্রী। আপনার জরুরি নির্দেশনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমাকে ঢাকা নেওয়া হয়েছিল। পরে সেখান থেকে আপনারই নির্দেশনায় ও দৈনিক জনকণ্ঠের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য আমাকে পাঠানো হয়েছিল সিঙ্গাপুরে। দেশে বিদেশে উন্নত চিকিৎসায় আমি জীবন ফেরত পেয়েছিলাম; কিন্তু আমাকে হারাতে হয়েছিল একটি পা, হারাতে হয়েছিল একটি হাতের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা; শরীরে বয়ে বেড়াই বোমা গুলির অসংখ্য টুকরো।

সিঙ্গাপুর থেকে কৃত্রিম পায়ে ভর করে দেশে ফেরার পরদিনই আমি আমার স্ত্রী অনিতা ও শিশু পুত্র সুপ্রিয়কে নিয়ে ছুটে গিয়েছিলাম গণভবনে, আপনাকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাতে। সাথে ছিলেন দৈনিক জনকণ্ঠের ফজলুল বারী ভাই ও জয় ভাই। সেদিনই প্রথম আপনার পা ছুঁয়ে শ্রদ্ধা জানানোর সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। আপনিও সেদিন গভীর মমতায় আমাকে ও আমার পরিবারকে সাহস জুগিয়েছিলেন পাশে থাকার আন্তরিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে। সেদিন গণভবনের সবুজ চত্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বিশেষ কর্মসূচি ছিল। আপনি আমাকে সময় দেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মসূচি এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সবদিন কিংবা স্মৃতি কি আমি ভুলতে পারি!

আপা,২০০২ সালের বই মেলায় আমার প্রথম ছড়ার বই 'বর্ণমালায় বাংলাদেশ' বের হয়। বইটি প্রকাশ করেছিল আগামী প্রকাশনী। আমার সেই প্রথম বই উৎসর্গ করেছিলাম আপনাকেই। আমি তখন ফরিদপুরে। বই মেলায় বই প্রকাশের খবর পেয়েছি, কিন্তু বইটি আমার তখনো হাতে আসেনি। ওই অবস্থায় আপনি আমার ফরিদপুরের বাসায় টেলিফোন করে বই উৎসর্গ করবার জন্য আমাকে আশীর্বাদ করেছিলেন, আমার স্ত্রী অনিতার সঙ্গে কথা বলে পরিবারের সকলের খোঁজ খবর নিয়েছিলেন, সাহস জুগিয়েছিলেন। আমি দূর থেকে বহুবারের মতো আরেকবার আপনার পায়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলাম। ওয়ান ইলেভেনের সময় আপনি যখন বন্দী, ওই সময়ে শুধুই আপনার প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধার কথা জানান দিতেই প্রকাশ করেছিলাম আমার দ্বিতীয় বই 'আমার বোন শেখ হাসিনা'। সেই বইটি উৎসর্গ করেছিলাম আওয়ামীলীগ ও আওয়ামীলীগের নিবেদিতপ্রাণ নেতা কর্মী সমর্থকদের।

২০১৪। মে মাসের মাঝানাঝি আপনার দপ্তরের কর্মকর্তা শাকিল ভাই আমাকে ফোন করে জানালেন, জুনে প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাবেন।আপনার ইচ্ছেতেই আমি নাকি সফরসঙ্গী। তখন আমার সে কী উত্তেজনা! আমার পাসপোর্ট ছিল না। শাকিল ভাই ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে আমার পাসপোর্ট বানিয়ে ফেললেন। আমি আপনার সঙ্গে চীন সফরে গেলাম। ৬ দিনের চীন সফরের শুরুর দিনই আমি বিমানের ভেতরেই আপনার পা ছুঁয়ে দ্বিতীয় বার শ্রদ্ধা জানালাম। ষষ্ঠ দিনে ফেরার পথে আপনি যখন বিমানের ভেতরে সকল সফর সঙ্গীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করছিলেন, সেই সময় আপনার পা ছুঁয়ে আমি তৃতীয় বার শ্রদ্ধা জানাই। পিতা বঙ্গবন্ধুর উজ্জ্বল উপস্থিতি যে বড় বোনটির মধ্যে,সেই বোনের পা ছুঁয়ে শ্রদ্ধা জানানোর তৃপ্তির কথা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।

আপা, আপনার যে পায়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি আমার জীবন ধন্য করেছি, সেই পবিত্র পায়ে সালাম দেওয়ার সুযোগ পেয়ে যায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক যুদ্ধাপরাধী খোকন রাজাকারের ভাগ্নে ও আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট মহিউদ্দিন খোকনের খুনি সাজ্জাদ হোসেন বরকত ওরফে চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম! গত ২৯ মার্চ আপনার ফরিদপুর সফরের সময় ওই দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে। আপনি তো আর বিএনপি ক্যাডার বরকতকে চিনেন না! আমার ভাবতে খুব কষ্ট হয়, আপনার কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের ভেতরে এই রকমের একজন অপরাধীকে ছেড়ে দেয় কারা!

আপা, আপনার বিশেষ অবগতির জন্য বরকত সম্পর্কে কিছু তথ্য দিচ্ছি। এটা শুধু আপনার নিরাপত্তা শঙ্কা কিংবা ফরিদপুর আওয়ামীলীগের চালচিত্র প্রকাশের জন্যই বলছি না, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হারের পর বরকত উপাখ্যানটি আপনার জানা দরকার এবং টোটাল আওয়ামীলীগের রাজনীতির জন্য সেটা জানা প্রাসঙ্গিক ও অনিবার্য হয়ে পড়েছে।

আপা, আপনি জেনে বিস্মিত হবেন, ফরিদপুরে কোনও টেন্ডার কাজের শিডিউল সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাওয়া যায় না; পাওয়া যায় হাল আমলের এক প্রতাপশালী ব্যক্তির নিজস্ব অফিসে। সেখানেই টেন্ডার শিডিউল বিক্রি হয়। পরে দেখা যায়, টেন্ডার শিডিউল ২৫ বা ৫০, যে কয়টিই বিক্রি হয়েছে, জমা পড়েছে মাত্র ৩ টি। সরকারি কোষাগারে জমা পড়েছে মাত্র ওই ৩ টি শিডিউল বিক্রির টাকা। আর সব টাকা গায়েব! টেন্ডার কাজ যিনিই পান বা যার লাইসেন্সের অনুকূলেই বরাদ্দ হোক, কাজটির মোট মূল্যের ১৬% অগ্রিম টাকা বিশেষ পকেটে না ঢোকা পর্যন্ত ওয়ার্ক অর্ডার কারো ভাগ্যেই জোটে না। উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাওয়া বা ফেঁসে যাওয়া ফরিদপুর শহরে বেশ কয়েকটি সরকারি মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। এমনকি দৃষ্টিনন্দন সরকারি পুকুর ভরাট করেও মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে বাণিজ্যের ধান্ধায়। ওই মার্কেট গুলোতে দোকান বরাদ্দ পেতে নিয়ম মেনে সরকারি কোষাগারে ৩ বা ৫ লাখ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অন্ধকারের একটি পকেটে আরও জমা দিতে হয়েছে ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা। ওই বাড়তি টাকা যারা দিতে পেরেছেন তারাই পেয়েছেন সরকারি মার্কেটে দোকান।

ফরিদপুরের সড়ক গুলোতে যাতায়াতকারী পরিবহন ও বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন বিশাল অংকের টাকা চাঁদা সংগ্রহ করা হয়। সেই টাকা জমা পড়ে এক বিশেষ ব্যক্তির পকেটে। পরে তিনি বিলিয়ে দেন কিছু উচ্ছিষ্ট। ফরিদপুর শহরের রথখোলা পতিতা পল্লী ও সিএন্ডবি ঘাট পতিতা পল্লী থেকে একটি বিশেষ বাহিনীর মাধ্যমে প্রতিদিন তোলা হয় মোটা অংকের টাকা। সেই টাকার একটি 'সম্মানজনক' অংশে ভাগ বসান ওই বিশেষ ব্যক্তি।


ফরিদপুরের দুর্ধর্ষ রাজাকার জাহিদ হোসেন খোকন ওরফে খোকন রাজাকার নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হবার পর তার শপথ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। জনশ্রুতি আছে ২৫ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে খোকন রাজাকারের শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়েছিল। পরে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে খোকন রাজাকারের ফাঁসি হয়। বিশেষ ব্যবস্থায় ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী খোকন রাজাকারকে দেশত্যাগের নিরাপদ ব্যবস্থা করে দেন ওই বিশেষ ব্যক্তিটিই।

আপা,আপনি শুনে কষ্ট পাবেন, ১৯৯৪ সালের নভেম্বরে খুন হন ফরিদপুর পৌর আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক এডভোকেট এ এইচ এম মহিউদ্দীন খোকন। নৃশংস এই মৃত্যুর খবর পেয়ে ফরিদপুরে ছুটে এসেছিলেন আপনি তথা আওয়ামীলীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সেদিন খোকনের কবরে ফুল দিয়ে চোখের জলও ফেলেছিলেন আপনি। আওয়ামীলীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ খোকন হত্যা মামলার শীর্ষ আসামিদেরও একজন ছিলেন এই তিনিই।

২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াতের দুর্বিষহ শাসনামলে আপনার টুঙ্গিপাড়া যাবার পথে ফরিদপুরে আপনার সম্মানে তোড়ন নির্মাণ করেছিলেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। বিএনপি ক্যাডার গোলাম আজাদ এবং আজকের আলোচিত দুর্বৃত্তের নেতৃত্বে সেই তোড়ন ভেঙে ফেলা হয়েছিল। নিয়তির পরিহাস, সেই গোলাম আজাদ এখন আওয়ামীলীগ নেতা এবং গত ২৯ মার্চ তিনি আপনার সম্মানে একটি তোড়ন নির্মাণ করেছিলেন সেখানেই, যেখানে এর আগে তারা আপনার সম্মানে নির্মাণ করা তোড়ন ভেঙেছিলেন!

আপা, আপনার সরকার মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আপনি জেনে ব্যথিত হবেন, প্রতিদিন ফরিদপুর শহর সংলগ্ন বদরপুর কিংবা রাজবাড়ি রাস্তার মোড়ে মাদকের বিরাট চালান এসে নামে। বদরপুরের একটি বিশেষ বাড়িতে কিংবা রাজবাড়ি রাস্তার মোড়ের মূক ও বধির বিদ্যালয়ের ভেতরে ওই চালান ভাগাভাগি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সারা ফরিদপুরে। অভিযোগ রয়েছে, ওই বিশেষ ব্যক্তিটিই এই মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রক।

শোনা যায়, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা, সাবেক মন্ত্রী ও ফরিদপুর সদর আসনের সাবেক এমপি চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ মাঝে মধ্যেই বলে থাকেন, ফরিদপুরে আমার দলের অনেক নেতাকর্মী আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে টাকা-পয়সা কামাচ্ছে। তাদের সাথে আমার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। সময় হলেই আবার ওরা বিএনপিতেই ফিরে আসবে। সাবেক এমপি চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ তথা বিএনপিরই সাবেক ক্যাডার ছিলেন আজকের এই ক্ষমতাধর ব্যক্তিটি। অনেকেই মনে করেন, আওয়ামীলীগে ঘাপটি মেরে থাকা এই ব্যক্তিটির সাথে গোপন যোগাযোগ রয়েছে কামাল ইউসুফ তথা বিএনপির।

ফরিদপুর শহরের খন্দকার নুরু মিয়া সড়ক সংলগ্ন প্রায় ১০ একর জমি পাকা পিলার বসিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় জমির মালিক সাধারণ মানুষ চূড়ান্ত আতঙ্কে রয়েছে। বলা হচ্ছে, সেখানে নাকি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ করা হবে। এটিকে ফরিদপুরের সবাই জমি দখলের অপচেষ্টা বলেই মনে করছেন। এই ঘটনার নেপথ্যে খুবই প্রভাবশালীরা রয়েছেন বলে বলা হলেও প্রকাশ্যে আসছে ওই বিশেষ ব্যক্তির নামটি-ই।

আপা, আপনি শুনে হাসি পাবেন, ২৯ মার্চ ফরিদপুরে আপনাকে আপ্যায়নের দায়িত্বপ্রাপ্তদের একজন সম্প্রতি ফরিদপুরে বিশাল এক ভুরিভোজের আয়োজন করে দেশের প্রবল ক্ষমতাধর এক ব্যক্তিকে দাওয়াত করে খাইয়েছিলেন। কয়েক হাজার মানুষের সেই ভুরিভোজ অনুষ্ঠানেই তিনি তার নিজের নামের পারিবারিক পদবী তথা পৈত্রিক পদবী 'মণ্ডল' পাল্টে 'চৌধুরী' করার ঘোষণা দেন।

আপা, আপনি এতক্ষনে বুঝে গেছেন, ওপরের সব কথা কিংবা অভিযোগ যাকে ঘিরে, তিনি আর কেউ নন, ফরিদপুরের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রকদের আশীর্বাদ ধন্য সাজ্জাদ হোসেন বরকত ওরফে চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম, যিনি বরকত নামেই সমধিক পরিচিত। প্রবল ক্ষমতাধর এই বিশেষ ব্যক্তিকে ফরিদপুরের সবাই এক নামেই চিনেন। এক সময়ের দাপুটে বিএনপি ক্যাডার বরকত ওরফে চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম এখন অন্ধকারের নানা কামাই রোজগারের একটি অংশ ঘাটে ঘাটে ছড়িয়ে ফরিদপুর শহর আওয়ামীলীগ ও ফরিদপুর শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। একই সঙ্গে তিনি ফরিদপুর বাস মালিক সমিতিরও সভাপতি। ফরিদপুরে আওয়ামীলীগের অনেকটাই নিয়ন্ত্রক তিনি।

আপা, এই রকম একজন দুর্ধর্ষ ব্যক্তি কি করে আপনার কঠোর নিরাপত্তাবলয়ে ঢুকে পড়ে, এটা আমার বোধগম্যের বাইরে। আমি শুধু জানি, জীবনের চূড়ান্ত ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করে চলেছেন আপনি।আপনাকে আমি তথা আমরা হারাতে চাই না। দেশজুড়ে এই বরকতরাই এখন এক একটা খোন্দকার মোশতাক! নব্য খোন্দকার মোশতাক ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করে আস্তাকুড়ে ছুঁড়ে ফেলতে হবে এখনই। আমার বিশ্বাস, আমার বোন শেখ হাসিনা সেটা করবেন, করবেনই।