বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানের থানছি উপজেলার বলিপাড়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ৩৩ বর্ডার গাড ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে: কর্ণেল হাবিবুল রহমান, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক হারুনর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চাকমা, থানছি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্য হ্লা চিং মারমা, জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষি পদ দাশ, থোয়াই হ্লা মং মারমা, থানছি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, ভাইস চেয়ারম্যান বকুলী মারমাসহ স্থানীয় ৪ ইউপি চেয়ারম্যান ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বীর বাহাদুর বলেন, নিজেদের মধ্যে সচেতনতা এবং দায়িত্ববোধের অভাবের কারণে বলিপাড়া বাজারে আগুন লেগে অনেক বেশী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বার বার বলা সত্বেও এক বালতি বালু এবং এক কলসি পানি ঘরের আঙ্গিনায় রাখে নি কেউ। যার পরিণতি আজকের এই ভয়াবহ রূপ। ফায়ার সার্ভিস নাই, এই অজুহাতের দায় চাপানোর আগে নিজেরা সচেতন হয়ে এবং বাজার কমিটি যদি দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করতো তাহলে এত বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হতো না। তিনি আরো বলেন, বাজারের পাশে বিজিবি’র বিশাল ব্যাটেলিয়ান রয়েছে যার কারণে আরো বেশী ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে। অগ্নিকান্ডের সময় বিজিবি সক্রিয় ভূমিকা পালন করায় তিনি বিজিবি’র সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষার জন্য তিনি প্রতিটি পাড়া ও বাজারে ঘরের পাশে ও আঙ্গিনায় এক বালতি বালু ও এক কলস পানি সব সময়ের জন্য মজুদ রাখার জন্য আহবান জানান। বলিপাড়া বাজারে বার বার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সমবেদনা জানিয়ে বাজার এলাকায় স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী।

ত্রাণ ও দুয়োগ মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্বাবধানে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রতি পরিবারকে নগদ ৮ হাজার করে টাকা, ১ বান্ডেল করে ঢেউটিন, ৩০ কেজি করে চাল, রান্না সামগ্রী, শীত বস্ত্রসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ রাত অনুমান পৌণে ১২টায় বলিপাড়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৩৪ দোকানসহ ৫২টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে স্থানীয়রা ধারনা করেছেন।

(এএফবি/এএস/এপ্রিল ০১, ২০১৭)