স্টাফ রিপোর্টার : প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে দাফনের উদ্দেশে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার শেষ ইচ্ছানুযায়ী ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে তার মায়ের কবরের পাশে শায়িত করা হবে।

এরআগে এবিএম মূসার মরদেহ নেওয়া হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। সেখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। জাতীয় প্রেসক্লাবে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

তার ছেলে ডা. নাসিম মূসা উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, বাবার লাশ রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে বেলা ১২টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেওয়া হয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেখানে বাদ জোহর দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে রাত দশটার মধ্যে তাকে দাফন করা হবে।

লাইফ সাপোর্টে থাকা সাংবাদিক এবিএম মূসাকে বুধবার দুপুরে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করার পরই তাকে তার নিজ বাসভবন মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে নিয়ে আসা হয়।

বুধবার বাদ মাগরিব রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের মাঠে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাত সাড়ে আটটার দিকে এবিএম মূসার মরদেহ রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের হিমঘরে নেওয়া হয়। রাতে মরদেহ সেখানেই রাখা ছিল।

উল্লেখ্য, গত সোমবার ল্যাবএইডে ভর্তি হন এবিএম মূসা। তিনি ব্লাড ক্যান্সারের মতো রোগ মাইলো ডিসপ্লাস্টিক সিনড্রোমে আক্রান্ত ছিলেন। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। অবস্থার অবনতি হলে মধ্যরাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল।

এবিএম মূসার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী-সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পারিবারিক জীবনে এ বি এম মূসার তিন মেয়ে মরিয়ম সুলতানা, পারভীন সুলতানা ও শারমীন মূসা এবং এক ছেলে নাসিম মূসা। স্ত্রী সেতারা মূসা এ দেশের নারী সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ।

(ওএস/এটি/ এপ্রিল ১০, ২০১৪)