লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : সাজানো মামলায় লক্ষ্মীপুরের তরুণ সাংবাদিক ও মেধাবী ছাত্র  রাজিব হোসেন রাজু ও সোহেল রানা এখন কারাগারে।

সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় তাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এমন ষড়যন্ত্রের ঘটনায় সচেতনমহল ও সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন।

সাংবাদিক হয়রানি, মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ ও তাদের মুক্তির দাবিতে শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাবের সামনে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘণ্টাব্যাপী সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকালে ওই দুই সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় কারাগারে যেতে হয়েছে। এর আগে বুধবার (২৯ মার্চ) মধ্যরাতে মিথ্যা গল্প সাজিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করানো হয়।

রাজিব হোসেন রাজু স্থানীয় দৈনিক মুক্ত বাঙালী পত্রিকার স্টাফ রির্পোটার, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রি’র ছাত্র ও নাট্যকর্মী। সোহেল রানা সাপ্তাহিক নতুন পথ পত্রিকায় নির্বাহী সম্পাদক ও একই কলেজের মাস্টার্সে পড়ছে।

জানা গেছে, বুধবার রাত ৮ টার দিকে একটি তথ্যের সূত্রধরে সাংবাদিক রাজু ও সোহেল সদর উপজেলার ভাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের মিরকপুর যায়। ঘটনাস্থল চৌকিদার বাড়িতে গিয়ে তারা দেখেন প্রেম করে বিয়ে করার দায়ে এক যুবককে মরাধর করে আটক করে রাখা হয়েছে। ওই যুবককে একটি খেলনা পিস্তল, ছুরি ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে ফাঁসানোর পরিকল্পনা চলছে। ওই সময়ের কথাবর্তা রেকর্ড ও ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে গেলে ওই বাড়ির লোকজন সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক ওই যুবককেসহ সাংবাদিকদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রাতেই মিথ্যা গল্প সাজিয়ে দুই সাংবাদিকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

অপর যুবক আবু ছায়েদ লিটন পার্শ্ববর্তী চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার দেশগাঁও গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে। লিটন সম্প্রতি ওই বাড়িতে প্রেম করে বিয়ে করেছে বলে দাবি করছে।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ এনে মমতাজ বেগম বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুরের সাংবাদিক নেতারা বলেন, সাংবাদিকদের হয়রানি করতে; তদন্ত ছাড়াই তড়িগড়ি করে মিথ্যা গল্প সাজিয়ে মামলা দায়ের করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার থানা থেকে যথাসময়ের মধ্যে দুই সাংবাদিককে আদালতে হাজির না করানো কারণে জামিন আবেদন করা যায়নি। এসব ষড়যন্ত্র। এ সাজানো ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি করেন তারা।


(এমআরএস/এসপি/এপ্রিল ২, ২০১৭)