শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের নড়িয়ায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে গণধর্ষনের অভিযোগে আটককৃত কবির হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে নির্যাতনের শিকার শিশুটি এখন শংকামুক্ত। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।

নড়িয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত কবির হোসেনকে আটকের পর সোমবার শরীয়তপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান তাকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে অপর অভিযুক্ত রাকিব হোসেনের মা লাকি বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেরে দিয়েছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার শিশুটির পরিবার জানিয়েছেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। সে এখন শংকামুক্ত। সে এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকেলে স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে সহপাঠিদের সাথে খেলা করছিল শিশুটি। এসময় একই গ্রামের নূরুজ্জামান হাওলাদারের ছেলে রাকিব (১৪) এবং সদর উপজেলা আটপাড়া গ্রামের খোকন মাদবরের ছেলে কবির (১৩) শিশুটিকে খেলার ছলে ফুঁসলিয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটির চিৎকার শুনে মারাত্মক আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে সহপাঠীরা। পরিবারের সদস্যরা নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পেরে তাকে দ্রুত শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনরা। অনবরত রক্তক্ষরণে শিশুটির স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকলে শনিবার রাত ১০টায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকরাম আলী মিয়া বলেন, শনিবার বিকেলে জপসা ইউনিয়নের হাওলাদারকান্দি গ্রামে একটি শিশুকে ধর্ষণ করা হয়। শিশুটির মা বাদি হয়ে নড়িয়া থানায় দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের একজন কবির হোসেনকে ওই দিনই আটক করা হয়। তাকে সোমবার শরীয়তপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করার পর বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের পর বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। অভিযুক্ত রাকিবকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

(কেএনআই/এএস/এপ্রিল ০৪, ২০১৭)