ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে ভাঙ্গা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র বালার অফিস কক্ষের ছাদের পলেস্তারা ধসে পড়ে। এতে কক্ষের টেবিলের কাচ ভেঙ্গে যায়। কর্মকর্তা নিজ আসনে বসা থাকলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতেন। এসময় তিনি নিজ আসনের পাশে কম্পিউটারে কাজ করছিলেন।

জানা যায়, ১৯৮৫ সালে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে একটি দ্বিতল ভবন নির্মিত হয়। ঐ ভবনে বর্তমানে উপজেলার ৭টি দপ্তরের অফিস রয়েছে। অফিস গুলো হলো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা, সমাজসেবা, সমবায়, বিএডিসি, কৃষি ও মৎস্য। গত ৬/৭ মাস আগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস কক্ষের ছাদের পলেসতারা ধসে পড়ে। তার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ভবনটিকে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেন। তারপরও চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই দপ্তরের কার্যক্রম।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পরিত্যক্ত ঘোষণার পরও কেন অফিস করছেন এই প্রশ্নের উত্তরে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র বালা বৃহস্পতিবার দুপুরে এ প্রতিনিধিকে বলেন, এই ভবনের অন্যান্য অফিস স্থানান্তর হয় নাই, তাই আমরাও করিনি। এছাড়া বাইরে ততটা নিরাপদ নয়। কিন্তু এখন আর থাকা যাবে না। ঘটনার পর থেকেই অফিস খোঁজা শুরু করেছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বাইরে ভাড়া অনেক বেশি। আমাদের কর্তৃপক্ষ এতটাকা দিবে না। উপজেলা কমপ্লেক্সেও কোন ভবন ফাঁকা নেই। তাই নোটিশ পাওয়ার পরেও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে অফিস করছি।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবির বলেন, গত ৬ মাস আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। আমি তারপর নোটিশ দিয়ে তাদেরকে অন্যত্র অফিস ভাড়া নিতে বলি।
ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুধীন কুমার সরকার বলেন, ঐ ভবনের যে অবস্থা তাতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
(এডি/এএস/এপ্রিল ১০, ২০১৪)