মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার শালিখা উপজেলার ভাটোখালি-লক্ষ্মীপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে বুধবার ভোরে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর হত দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ১২ বস্তা চাউল উদ্ধার করেছে পুলিশ। চাউলগুলো ওই উপজেলার ধনেশ্বরগাতি ইউনিয়নের হত দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

শালিখা থানার এসআই বিশারুল জানায়, এলাকাবাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার ভোর রাত ৪টার দিকে শালিখা উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের ভাটোখালি-লক্ষ্মীপুর গ্রামের রথিন বিশ্বাসের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ওই বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে থাকা ১২ বস্তা চাউল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

এলাকাবাসি জানায়, মঙ্গলবার রাতে রহমত নামে এক ব্যক্তি একটি স্যালো ইঞ্জিন চালিত করিমন চালিয়ে ৩৭ বস্তা চাউল নিয়ে ভাটোখালি লক্ষ্মীপুর গ্রামের রথিনের বাড়িতে রেখে আসে। এ ঘটনার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে শালিখা থানা পুলিশকে অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়নি। এই সুযোগে চাউল পাচারের সাথে জড়িতরা বাড়িটি থেকে চাউলগুলো সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে। তারপর পুলিশ ভোর ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে ১২ বস্তা চাউল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

জাকারিয়া নামে স্থানীয় এক যুবক জানান, চাউলগুলো ধনেশ্বরগাতি ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের অনুকুলে ১০ টাকা কেজি দরে বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু ৩০ কেজি ওজনের ৩৭ বস্তা চাউল ইউনিয়নের গরিব মানুষকে বঞ্চিত করে সরিয়ে ফেলা হচ্ছিল। তারপরও এলাকাবাসি খবর পেয়ে পুলিশকে জানালেও পুলিশ যথা সময়ে পৌছায়নি। যে কারণে তারা ২৫ বস্তা চাউল সরিয়ে ফেলার সুযোগ পায়।

এ বিষয়ে ধনেশ্বরগাতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিমল শিকদার জানান, ১০ টাকা দরের চাল বিতরণে প্রথম দিকে কিছু অনিয়ম হয়েছিল। প্রকৃত হতদরিদ্রদের অনেকে বাদ পড়েছিল। কিন্তু আমি নিজে তদারকি করে ১৬২ জন হতদরিদ্রের তালিকা তৈরি করেছি। এই তালিকা অনুযায়ী দরিদ্র মানুষের মাঝে চাল বিতরণের কথা। কিন্তু তারপরও কিভাবে এই ঘটনা ঘটেছে সেটি তদন্ত করে দেখছি।

তিনি বলেন, গত রাতে চিকিৎসা শেষে ভারত থেকে বাড়িতে ফিরে বিষয়টি জেনেছি। তবে এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ডিসি/এএস/এপ্রিল ০৫, ২০১৭)