রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে একটি চোরাই গরু উদ্ধার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কিন্তু গরু উদ্ধার করলেও গরুর মালিককে না পেয়ে তারা বিপাকে পড়েছে। এলাকায় চুরি ঠেকাতে তারা এ পদক্ষেপ গ্রহন করেছে বলে ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে।

এলাকাবাসী ও ইউপি সদস্যরা জানান, রাজারহাট উপজেলায় বেশ কিছুদিন ধরে চোরদের উপদ্রপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি সংঘবদ্ধ চোরের দল বাইরে থেকে চুরি যাওয়া মালামাল উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে এসে কেনা-বেচা করছে। এসব চোরাই মালামাল উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নে নিয়ে এসে রাখারও অভিযোগ উঠে।

বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পরিষদের সদস্যরা চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারের অভিযান চালায়। তারই সুবাদে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা চুরি যাওয়া বেশকিছু মালামাল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।

একই সাথে গত মঙ্গলবার ওই ইউনিয়নের ধনঞ্জয় মৌজার গলাকাটা এলাকা থেকে তারা ধুসর রংয়ের একটি গাভীও উদ্ধার করে। যার মূল্য আনুমানিক ৩২/৩৫ হাজার টাকা। কিন্তু গত ৫দিন ধরে গাভীটির প্রকৃত মালিক না পাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের হেফাজতে রয়েছে বলে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী নিশ্চিত করেছেন।

গত ৭এপ্রিল শুক্রবার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শরিয়ত উল্ল্যা জানান, প্রকৃত মালিক ও সঠিক তথ্য দিতে পারলে গাভী দেয়া হবে। এব্যাপারে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোখলেসুর রহমান জানান, এটি নিঃসন্দেহে একটি ভাল কাজ। তবে গরু উদ্ধারের বিষয়ে তার জানা নেই।


(পিএমএস/এসপি/এপ্রিল ০৭, ২০১৭)