খুলনা প্রতিনিধি : বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ এর আর মাত্র ৬ দিন বাকি। দিনটিকে ঘিরে উৎসবে মাতোয়ারা খুলনাবাসী। আর সে উৎসবের প্রধান আকর্ষণ পান্তাভাত আর ইলিশ। রসনাবিলাশীরা এই দিনে পান্তার সঙ্গে ইলিশ খেতে ভুল করেন না। কিন্তু প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নববর্ষের প্রভাব পড়েছে খুলনার ইলিশের বাজারে। আগুন বরাবর দাম হাঁকছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে বৈশাখী মেনু থেকে ইলিশ বাদ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অনেকেই।

দেড় কেজি সাইজের এক জোড়া ইলিশের দাম হাঁকানো হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও ইলিশের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম এমন খোঁড়া অজুহাত দাঁড় করাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের এমন কারসাজিতে পহেলা বৈশাখে ইলিশের বিকল্প খুঁজছে ভোক্তারা। পহেলা বৈশাখকে পুঁজি করে মোটা অংকের লাভের আশায় ইলিশের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে একাধিক ভোক্তা মন্তব্য করেছেন।

খুলনা মহানগরীর ময়লাপোতাস্থ কেসিসি সন্ধ্যা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে কোল্ড স্টোরে রাখা দেড় কেজি সাইজের ইলিশ ২২শ টাকা, এক কেজি সাইজের ১৪শ টাকা ও ৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ১২শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সদ্য ধরা ইলিশ এক কেজি সাইজের ১৮শ টাকা ও ৮০০ গ্রাম সাইজের ১২শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অথচ এক সপ্তাহ আগে হিমাগারে রাখা ইলিশ দেড় কেজি সাইজের ১৭শ থেকে ১৮শ টাকা, এক কেজি সাইজের ১১শ থেকে ১২শ টাকা, ৮০০ গ্রাম সাইজের ৭শ থেকে ৮শ টাকা এবং সদ্য ধরা ইলিশ এক কেজি সাইজের ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা, ৮০০ গ্রাম সাইজের ৭শ থেকে ৮শ টাকা দরে বিক্রি হয়।

ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল, ভোলা, পাথরঘাটা, চরদোয়ানী, চরখালী, বেকুটিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ইলিশ খুলনার চাহিদা মেটায়।

নগরীর সন্ধ্যা বাজারে আসা ক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান, পহেলা বৈশাখের আগে ইলিশের বাজার খুব চড়া হয়ে উঠেছে। ফলে পহেলা বৈশাখ পালনে আমাদের সকলকে ইলিশের বিকল্প খুঁজতে হবে।

তবে মহানগরীর কেসিসি সন্ধ্যা বাজারের সভাপতি মাছ ব্যবসায়ী মো. মোজাফ্ফার হোসেন আশেক বলেন, এ বছর ইলিশের চাহিদা খুবই কম। কিন্তু সরবরাহ রয়েছে পর্যাপ্ত। পহেলা বৈশাখের আগে ইলিশের দাম কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ব্যবসায়ীদের এ বছর লোকসানের ঘানি টানতে হবে।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ০৮, ২০১৭)