লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : ভিক্ষুকমুক্ত লোহাগড়া গড়তে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ঢাকা ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। যারা ভিক্ষাবৃত্তির সাথে জড়িত ছিলেন তাদের কিভাবে পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলা হয়েছে এসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন তারা।

শনিবার দুপুর ২টায় দিকে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সড়ক ও জলপথ (সওজ) এর রাস্তার অংশে পৌর আ’লীগ অফিসের পশ্চিম পাশে নবনির্মিত ভিক্ষুক পুনর্বাসন দোকান বরাদ্ধ পাওয়া উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মৃত হারেজ সরদারের ছেলে মোঃ সিদ্দিক সরদার (৫৫), লক্ষীপাশা গ্রামের মৃত রোস্তম শেখ’র ছেলে আব্দুর রহমান (৭৭),গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত জহুরুল হক মোল্যার ছেলে বাবলু মোল্যা (৪৫), মল্লিকপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াজেদ’র ছেলে মোঃ তারা মিয়া (৭০) ও সিংগা গ্রামের মৃত ফজর শেখ’র ছেলে আব্দুল মোতালেব শেখ (৬০) এসব দোকানের মালামাল এবং বেচাকেনাসহ এলাকায় কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তারা।

এ সময় নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আনিসুর রহমান, লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের সিএ শরিফুল ইসলাম, আরিফুজ্জামানসহ সুধীমহল উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সিদ্দিকুর রহমান স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, দোকান ঘরগুলি লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিয়ন্ত্রনাধীন থাকবে। দোকান ঘর বরাদ্ধ পাওয়া ভিক্ষুক অন্যের নিকট হস্থান্তর করিতে পারিবে না।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে ভিক্ষুকমুক্ত নড়াইল জেলার কার্যক্রম শুরু হয়। জেলায় মোট ৭৯৮ জন ভিক্ষুক সনাক্ত করে তাদের পুনর্বাসন করার প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যে লোহাগড়ায় ১৯০ জন ভিক্ষুক রয়েছে।

(আরএম/এএস/এপ্রিল ০৮, ২০১৭)