গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দেড় যুগেও বিদ্যুৎ সংযোগ মিলেনি মজিবর রহমান সরকার বাদশা নামে এক গ্রাহকের রাইচ মিলে।

জানা যায়, উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র গ্রামের মৃত- অছিম উদ্দিনের পুত্র মজিবর বহমান সরকার বাদশা বামনডাঙ্গা জমিদার বাড়ি নামক স্থানে রাইচ মিল স্থাপনের জন্য একটি শিল্প মিটারের জন্য সমীক্ষা ফি বাবদ রশিদ মূলে টাকা জমা দিয়ে ১৯৯৯, ২০০৭ ও ২০০৮ইং সালে আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।

এর মধ্যে শেষ বারের মতো ২০০৮ সালে আবেদনে স্থানীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের সুপারিশ রয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট নিতিমালা অনুযায়ী ২০১১ সালে কিলোওয়াট প্রতি ২ হাজার ৭শ’ ৫৮ টাকা ৫২ পয়সা হিসেবে ২৩ কিলোওয়াটের জন্য ৬৩ হাজার ৪শ’ ৪৬ টাকা জমা করেন। এরপর শুধুমাত্র ৩০ কিলোওয়াটের ট্রান্সফরমার উঠানোসহ যাবতীয় কার্যাবলী সম্পন্ন করে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ।

এদিকে, নিজেও রাইচ মিল, চাতাল, ঘর-দরজা নির্মাণসহ সবকিছুই সমাধা করে নেন মজিবর রহমান সরকার বাদশা। এতে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকা খরচ হলেও অদ্যবধি বৈদ্যুতিক সংযোগ না মেলায় তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

এ ব্যাপারে অভিযোগ করে বলেন- তার আবেদনের অনেক পরে ৩ ব্যক্তি সংযোগ চেয়ে আবেদন করে তারা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার কাছ থেকে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ (শঠিবাড়ি)’র এক কর্মকর্তা ২০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবী করেছিলেন। তা না দেয়ায় বৈদ্যুতিক সংযোগ না দিয়ে তার নামে অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে একাধিকবার ডিমান্ড ফি বাবদ টাকা জমা দেয়ার নোটিশ ইস্যু দেখানো হলেও তিনি কোন নোটিশ পাননি।

মজিবর রহমান সরকার বাদশা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন- তার জামানত স্বরূপ জমাকৃত টাকা আত্মসাতের অপচেষ্টায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা বিগত দেড় যুগেও সংযোগ না দিয়ে হয়রানী করছেন।

এ ব্যাপারে তিনি উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপসহ অতীব জরুরী সংযোগ কামনা করছেন। এদিকে অনেক চেষ্টা করেও প্ল্লী বিদ্যুৎ।


(এসআইআর/এসপি/এপ্রিল ১২, ২০১৭)