শরীয়তপুর প্রতিনিধি : বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেছেন, “দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিচালিত সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার হচ্ছে দেশ থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূল করা। এ কর্মসূচি পালনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে। আর শরীয়তপুর জেলা থেকেই শুরু হবে জঙ্গিবাদ নির্মূলের কার্যক্রম”। বুধবার সন্ধ্যায় শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী এক ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোহাগ এ কথা বলেন।

বুধবার শরীয়তপুর জেলা শিল্পকলা মাঠে শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. মোহসীন মাদবরের সভাপতিত্বে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা জহিরুল ইসলাম শিকদার, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক কাজী নজরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাহাড়, সহ-সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন হাওলাদার, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান, নুসরাত জাহান নুপুর, মাসুদ ডালিম, আরিফিন সিদ্দিক সুজন ও সায়েম খান প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক টিপু কোতোয়াল ও রাশেদুল ইসলাম।

ছাত্রলীগ সভাপতি তার বক্তব্যে আরো বলেন, শরীয়তপুর জেলা হচ্ছে ছাত্রলীগের নেতা তৈরীর উর্বর ভূমি। এ জেলার সন্তানেরা স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দায়িত্বের অগ্রভাগে থেকেছেন। এই জেলায় অনেক ত্যাগী নেতার জন্ম হয়েছে। যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন সারা বাংলা জুড়ে। তিনি আরো বলেন, এই শরীয়তপুর জেলায় আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। কৈশরের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত আমি এই জেলায় পড়াশুনা করেছি। আমার বাড়ি পার্শ্ববর্তী জেলা মাদারীপুর হলেও এই জেলার ছাত্র সমাজের প্রতি আমার অনেক ভালোবাসা রয়েছে। এখানে অনেক সাহসী নেতার জন্ম হয়েছে। দেশ যখন দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে তখন ঐ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দেশকে ধ্বংস করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জঙ্গি দমনে প্রথমে এই জেলার সাহসী নেতৃবৃন্দ আন্দোলন গড়ে তুলবে। সেই সাথে মাদক বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলে সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্র থেকে মাদক নিমূল করায় এই জেলার ছাত্র সমাজকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

সন্ত্রাস বিরোধী ছাত্র সমাবেশকে সফল করতে দুপুরের পর থেকেই জেলা ছয়টি উপজেলা থেকে হাজার হাজার ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করতে থাকে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার আগেই জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনটি ছাত্রলীগ কর্মীদের সরব উস্থিতিতে কানায় কানায় ভরে যায়। সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে আররহন করলে সভার কার্যক্রম শুরু হয়।

(কেএনআই/এএস/এপ্রিল ১৩, ২০১৭)