আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কথায় আছে এক দেশের বুলি অন্য দেশের গালি। আর এই কথার প্রমাণ আমাদের বাস্তবিক জীবনে প্রায় সময়ই আমরা দেখতে পাই। যেমনটা চীনের কুকুর খাওয়ার উৎসবের ক্ষেত্রেও।

আমাদের দেশে খাবার হিসেবে কুকরের মাংস কেউ খাবার কথা ভুলেও ভাবেনা, কিন্তু কোথাও আবার কুকুরের মাংস তুমুল জনপ্রিয় খাবার। জনপ্রিয়তার তোড়ে পরিবেশবাদী আন্দোলনকর্মীদের নিষেধাজ্ঞা এবং অনুরোধ উপেক্ষা করেও হচ্ছে ‘কুকুর খাওয়া উৎসব’।

গ্রীস্ম উদযাপনের এই উৎসবকে কেন্দ্র করে চীনের অনেক অঞ্চলের বাসিন্দারা দেদারছে কুকুর নিধন শুরু করেছে। গেল সপ্তাহে দক্ষিণ চীনের ইয়ুলিন শহরের বাসিন্দরা তাদের সব কুকুরকে একসঙ্গে জড়ো করে এবং সারাদিনব্যাপী কুকুর খাওয়া উৎসব পালন করে। তবে ইয়ুলিন শহরে উৎসবটি হয়ে গেলেও আগামী শনিবার পুরো চীনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই উৎসব পালিত হবে।

চীনের স্থানীয় মানুষদের দাবি এবছর এই উৎসব চলাকালীন সময়ে পরিবেশবাদীরা যেন দূরে থাকে। কারণ এই সময়েই মূলত পরিবেশবাদীরা কুকুর বিক্রির স্থান, কসাইখানা এবং দোকানে গিয়ে প্রচারাভিযান চালায়। দীর্ঘদিন ধরে চালানো এই প্রচারাভিযানের কারণে অবশ্য চীনের অনেক স্থানেই নির্বিচারে কুকুর খাওয়ার প্রতিযোগিতা অনেকটা কমেছে বলে জানা যায়। যে কারণে দেশটির অনেকেই এখন কুকুর পোষার দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছে।

ইয়ুলিনের ঐতিহ্য অনুযায়ী লিচু দিয়ে কুকুরের মাংস সঙ্গে মদ হলো গ্রীস্মকালীন উৎসবের মূল আকর্ষণ। শীতকালে নগরের বাসিন্দাদের শরীরের সুস্থতা কামনায় এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। যদিও কুকুরের মাংস খাওয়ার কারণে মানুষের শরীরে আদৌ কোনো ধরণের সমস্যা হয় কিনা তা জানা যায়নি।

এদিকে পশু সংরক্ষণ সংস্থাগুলোর মতে, এই উৎসবের কারণে মানুষের শরীরে নানান রোগের জীবানু প্রবেশ করে। এছাড়াও অনেকের বাড়ির গৃহপালিত কুকুর চুরি হয়ে যায় কুকুর খাওয়ার হিরিকের কারণে। বাড়িতে পোষা কুকুরের শরীরে অনেক সময়ই বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া যায় যা মানুষের শরীরের জন্য খারাপ।

(ওএস/এটিআর/জুন ২০, ২০১৪)