স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপিকে উদ্দেশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, পাঁচ বছর তারা ক্ষমতায় ছিলেন। তাদের অনেক সংসদ সদস্য ছিলেন। কিন্তু, তারা আল্লাহর আইন কায়েম করেনি। তারা জিয়াউর রহমানের নামে এতিমখানার টাকা মেরে দিয়েছে। এই টাকার কোনো জবাব দেয়নি।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে দেশ অধ্যয়ন কেন্দ্র আয়োজিত আলেম মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

নিজেদের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের ভুল নেই, এটা বল যাবে না। আমারাও নির্দোষ বা নিষ্পাপ নই। তবে তাদের (বিএনপি) সঙ্গে আমাদের তুলনা করতে হবে। আমরা কত ভুল করেছি এবং তারা কত টুকু ভুল করেছে! আমরা অনেক কম ভুল করেছি।

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী হাসিনা নিয়ে তারেক রহমানের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেন, তারেক রহমানকে তার ছেঁড়া এক ছোকড়া ও ভারসাম্যহীনের প্রলাপ বকা বলে মন্তব্য করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, এক ছোকড়া বঙ্গবন্ধুর বৈধ প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করে। জিয়াউর রহমান প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে দাবি করে।

তিনি তারেক রহমানের কাছে পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ১৯৭১ সালের এপ্রিলের ১৭ তারিখের আগ পর্যন্ত ২২ দিন জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে কী দায়িত্ব পালন করেছেন?

তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর প্রধানমন্ত্রিত্বের বৈধতা নিয়ে কথা বলেন, তা ভারসাম্যহীনের প্রলাপ বকা, তার ছেঁড়া কথাবার্তা।

তিনি বলেন, জিয়া তো সেক্টর কমান্ডর। প্রধান সেনাপতিও হতে পারেননি!

মন্ত্রী জানান, ইসলাম ধর্মে কালেমে পাক নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই। দলমত বিতর্কের ঊর্ধে। ধর্ম ও দল এক নয়। আমরা ধর্মপ্রাণ। আমরা যতটুকু ইসলামকে মানি, অন্য কোনো দেশ তা মানে না।

তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে আমরা অনেক ঈমানদার। দেশের মানুষ অনেক ঈমানদার। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার আমরা এই মতবাদে বিশ্বাসী। আমাদের ইসলাম ধর্মেই আছে, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না।

মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, আলেম মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

সংগঠনের উপদেষ্টা মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও সংগঠনের সভাপতি মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নাদভী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী (মরণোত্তর), মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ (মরণোত্তর), শহীদ মাওলানা ওয়ালীউর রহমান (মরণোত্তর), মাওলানা মোহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর (মরণোত্তর), মাওলানা আবদুল হালীম হোসাইনী (মরণোত্তর), মাওলানা কাজী মু’তাসিম বিল্লাহ (মরণোত্তর), মুফতি নুরুল্লাহ (মরণোত্তর), মাওলানা শায়েখ শিহাব উদ্দিন আড়াইহাজারী (মরণোত্তর), মাওলানা উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী, মাওলানা ইসহাক ওবায়দী ও মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।


(ওএস/এটি/ এপ্রিল ১০, ২০১৪)