স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মতো একটি সংস্থার দাবি করেছেন কওমি শিক্ষা সনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন কমিটির নেতারা।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবির কথা জানান কওমি শিক্ষা সনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন কমিটির নেতারা।

কওমি শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে কমিটির সদস্যসচিব ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, আইন তৈরি করে ইউজিসির মতো আমাদের নিয়ন্ত্রণকারী একটি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দিতে হবে। সে প্রতিষ্ঠানটি কওমি মাদরাসার অনুমোদন ও নিয়ন্ত্রণ করবে।

তিনি বলেন, এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক ছাড়াই দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর সমমানের স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি নিয়ে বির্তক তোলা হচ্ছে। ইসলামি স্টাডিজের সর্বোচ্চ মর্যাদা নতুন কিছু নয়।

বঙ্গবন্ধুর আমলে কওমি শিক্ষাকে স্নাতকোত্তর সমমান মর্যাদা দেয়া না হলেও এ শিক্ষাকে এক ধরনের মর্যাদা দেয়া হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কওমি শিক্ষাকে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করতে কওমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেখান থেকে কোরআন-হাদিসের আলোকে ডক্টরেটসহ এ শিক্ষায় সর্বোচ্চ ডিগ্রি দেয়া হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, কওমি শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সরকারি কোনো আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করা হবে না। দেশ-বিদেশের অনুদান দিয়ে সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

তিনি বলেন, ২০০৬ সালে খালেদা জিয়া কওমি শিক্ষাকে দায়সারা স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তা তিনি চাপের মুখে পড়ে এমন দায়সারা স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিষয়টিকে বিবেচনা করে আন্তরিকতার মাধ্যমে কওমি শিক্ষার স্বীকৃতি ঘোষণা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আরেক নেতা আব্দুল আলী ফরিদী বলেন, কওমি শিক্ষাকে নিয়ে বামপন্থী ও জামায়াত নেতারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এদের ভেতর পচে গেছে। তাই তারা ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিদের নিয়ে কুৎসা রটানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মওলানা সরফুদ্দিন, মওলানা মাসুদুল কদিরসহ কওমি সদন স্বীকৃতি বাস্তবায়ন কমিটির অন্য নেতারা।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ১৯, ২০১৭)