লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় পল্লী বিদ্যুৎতের নতুন লাইন নির্মাণে গ্রাহকদের কাছ থেকে একটি দালাল চক্র মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নতুন লাইন নির্মাণের ব্যাপারে কোন দালাল বা প্রতারক চক্রের কাছে অর্থ লেনদেন না করার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এলাকায় মাইকিং করলেও সুকৌশলে ওই চক্রটি গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের আড়িয়ারা গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে শেখ ফরিদ ওরফে কাশেমের নেতৃত্বে একটি দালাল চক্র ধানাইড় ও চর-আড়িয়ারা গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে গ্রাহক প্রতি ২ হাজার ২০০ টাকা করে প্রায় ৫ শত গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে।

শুধু তাই নয়, যে সব গ্রাহক দালাল চক্রকে টাকা দিচ্ছে না তাদেরকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না মর্মে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ধানাইড় গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান ভূঁইয়া অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যুতের বিষয়ে আড়িয়ারা গ্রামের ফারক শেখের ছেলে কাশেম আমাদের বাড়িতে গিয়ে টাকা চাইলে ছেলে মেয়েরা বলে লাইন নির্মাণে কোন টাকা লাগে না। জবাবে কাশেম জানায়, তাহলে কোন দিনই এ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাবে না।

একই গ্রামের মানিক ভুইয়া বলেন, আড়িয়ারা গ্রামের কাশেম আমার নিকট থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা নিয়েছে। কি বাবদ টাকা নিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দেবে বলে টাকা নিয়েছে সে। কাশেম আমাকে বলে, আর যদি টাকা না দেও তালি মিটার পাবা না

ওই গ্রামের শামছুল হক কাজী বলেন, কাশেমসহ আরও কয়েকজন এই টাকা আমাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে।

এ ব্যাপারে কাশেমের সাথে গতকাল শনিবার দুপুরে মুঠোফেনে (০১৯৫৬১৪০৬১৬) যোগাযোগ করা হলে তিনি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি অর্থ লেনদেনের সাথে জড়িত না। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়।

এ বিষয়ে কথা হয় যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন লক্ষীপাশা সাব জোনাল অফিসের এমজিএম কম শরিফুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, কাশেম নামের এক লোক ওই এলাকার সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে অর্থ আদায় করছে। বিদ্যুৎ লাইন নির্মানে কোন টাকা লাগে না বিষয়টি জনসাধারনের অবগতির জন্য তাৎক্ষনিক ভাবে মাইকিং করা হয়েছে।

(আরএম/এসপি/এপ্রিল ২২, ২০১৭)