পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের   ২২ লাখ টাকা আত্মসাত করতে চট্টগ্রাম নগরীর তেল ব্যবসায়ী পটিয়ার সাইফুল ইসলামকে  সন্ত্রাসীরা খুন করেছে। ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের  বন্ধু আনোয়ার  খুন করে দেহ থেকে মস্তক বিছিন্ন  করে ফেলে যাতে পরিবার লাশ শনাক্ত করতে না পারে।

শুক্রবার সার্কলার রোড পটিয়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গত ২ জুন নগরীর পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী বেড়িবাঁধ এলাকায় খুন হওয়া সাইফুলের স্ত্রী নার্গিস আকতার লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাইফুল ইসলামের মা ছেমন আরা বেগম ও ভাগ্নে এমরান হোসাইন।

এ সময় তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন, খুনিদের বাচাঁতে একটি মহল তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এই মহলটি ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্ঠা চালাচ্ছে। পটিয়া উপজেলার খরনা লালারখীল গ্রামের মৃত আবদুস ছমদের পুত্র সাইফুল আলম (৩৫) নগরীর হালিশহর জেনারেল হাসপাতালে তেলের ব্যবসা করতো। তার সাথে আগ্রাবাদ হাজিরপাড়া এলাকার আনোয়ার নামে জনৈক ব্যক্তির মধ্যে ৭/৮ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল।

আনোয়ারের তিনশতক জায়গা ডেভলাপার কোম্পানীকে দিতে চাইলে সাইফুল তার বাড়ি এলাকার প্রবাসী বন্ধু শহীদকে উক্ত জায়গা ক্রয় করার প্রস্তাব দেয়। বিদেশ থেকে শহীদ উক্ত জায়গায় বিল্ডিং নির্মানের জন্য ২২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা সাইফুর মাধ্যমে আনোয়ারের কাছে পাঠায়। আনোয়ার নামে মাত্র দালান কোঠা নির্মান কাজ শুরু করলে আনোয়ারের সাথে সাইফুর মধ্যে কয়েকবার বাড়াবাড়ি হয়।

গত ৩১ মে সাইফু বাড়িতে আসলে বিল্ডিংয়ের কাজ কতটুকু হয়েছে সাইফুর স্ত্রী জানতে চাইলে সাইফু বলেন, “বিল্ডিংয়ের নাম ধরিস না, বিল্ডিংয়ের জন্য হয় তুই বিধবা হইবি, না হয় আনোয়ারের স্ত্রী বিধবা হইবে”। এরপর গত ২ জুন আনোয়ার নিখোজঁ হয়। পরদিন ৩ জুন পাহাড়তলী থানায় দক্ষিন কাট্টলী বেড়িবাধ এলাকা থেকে তার মস্তকবিহীন লাশ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় পাহাড়তলী থানা পুলিশ আনোয়ার ও তার সহযোগী ওসমানকে গ্রেপ্তার করেছে। সুষ্টু তদন্তের জন্য বাদী নার্গিস আকতার মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের জন্য আবেদন জানান।

উল্লেখ্য, গত ২ বছর আগে সাইফুলের একমাত্র ভাই মাহবুব মারা যায়। গত ১ বছর পূর্বে সড়ক দুর্ঘটনায় সাইফুর বাবা মারা যায়। বর্তমানে সাইফু খুন হওয়ার পর পরিবারে ২ মাস বয়সী এক সন্তান ও শ্বাশুড়ীকে নিয়ে স্ত্রী নার্গিসের জীবনে অমানিষা নেমে এসেছে।

(এনই/এটিআর/জুন ২০, ২০১৪)