রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ধন, সমাবেশ ও র‌্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

রবিবার হত্যার এক বছর পূর্তিতে রাবি শিক্ষক সমিতি ও ইংরেজি বিভাগের আয়োজনে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।

এদিন বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে রাবি শিক্ষক সমিতির ব্যানারে মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। এতে মুক্তিযুুদ্ধের চেতনা ও মূল্যাবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ ও ইংরেজি বিভাগ ব্যানার নিয়ে যোগ দিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করে।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ্ আজম শান্তনুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ্ বলেন, রেজাউল স্যার হত্যাকাণ্ড মামলার একটি চার্জশিট দিতে দেখেছি। কিন্তু চূড়ান্ত পরিণতিতে বিচারকার্য এগিয়ে নিতে দেখি না। মামলায় যে অগ্রগতি হয়েছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা খুনিদের ফাঁসি চাই।

মানববন্ধনে ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাসউদ আখতার বলেন, এই সমাজে যে বর্বরতা, নৃশংসতা ও অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি শক্তিশালী রূপ ধারণ করেছে, তা থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হলে, সমাজ চেতনা ও ব্যক্তি চেতনার ইতিবাচক রূপান্তর ঘটাতে হবে।

শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি জঙ্গি হামলা হয়েছে এবং তাদের হামলায় সবথেকে বেশি শিক্ষক মারা গেছেন। নিয়মিত বিরতিতে এই শিক্ষক হত্যা বন্ধ করতে চাই।

মানববন্ধনে পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও আইন বিভাগের অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান বক্তব্য দেন।

মানববন্ধনের আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসে র‌্যালি বের করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। র‌্যালি শেষে মুকুল প্রতিবাদ ও সংহতি মঞ্চে সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ, ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাসউদ আখতারসহ শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া বেলা সাড়ে ১২টায় দোষীদের বিচারের আওতায় এনে বিচারকার্য দ্রুত শেষ করতে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি প্রদান করে ইংরেজি বিভাগ। এদিন বিকেলে বাদ আসর মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ২৩ এপ্রিল রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসার অদূরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় অধ্যাপক রেজাউলকে। ওইদিন বিকেলে ওই শিক্ষককের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেন। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ২৩, ২০১৭)