বান্দরবান প্রতিনিধি : স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে ও জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মুল কর্মসুচীর আয়োজনে পার্বত্য বান্দরবানে কেন্দ্রীয় ভাবে আন্তর্জাাতিক ম্যালেরিয়া দিবস পালন করা হয়েছে। “চিরতরে ম্যালেরিয়া হোক অবসান” এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহর ঘুরে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউট প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি ইনিষ্টিটিউটে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াই হ্লা মং মারমা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন মজুমদার, প্যারাসাইটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. বেনজির আহমেদ, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল আলম, সিভিল সার্জন ডা. উদয় শংকর চাকমা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসরুর, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. অং সুই প্রু, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থপান করেন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মুল কর্মসুচীর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মোঃ আখতারুজ্জামান।

পরে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউট প্রাঙ্গনে ম্যালেরিয়া রোগ নির্ণয় ডিসপ্লে ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

এদিকে বান্দরবান মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা হওয়ায় ম্যালেরিয়া নির্মুল সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মুল কর্মসুচীর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মোঃ আখতারুজ্জামান জানান, ক্রস বর্ডার ইস্যু থাকার কারণে এদেশে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমলেও ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং মিয়ানমার উচ্চ ম্যালেরিয়া প্রবন এলাকা। তাই খুব সহজেই ম্যালেরিয়া কেইস ট্রান্সমেশন হচ্ছে এ দেশে। এদেশে ম্যালেরিয়া মুক্ত করতে গেলে অভ্যন্তরীন কার্যপদ্ধতি গ্রহন করতে হবে এবং ক্রস বর্ডার কলাব্রেইশন বাড়াতে হবে। তিনি আরো জানান, আগাম বর্ষা শুরু হওয়ার কারণে বান্দরবান, কক্সবাজারসহ পার্বত্য অপর ২ জেলায় ১১ লক্ষ্য কিটনাশক মেশানো মশারী বিতরণ করা হবে মে মাস থেকে।

(এএফবি/এসপি/এপ্রিল ২৫, ২০১৭)