বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা মেডিকেল স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের ব্যানারে মেডিকেল স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা বুধবার দুপুরে চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে খুলনা- বাগেরহাট- পিরোজপুর- বরিশাল মহাসড়কে দেড় ঘন্টা ধরে অবরোধ করে রাখে। চারদফা দাবিতে আন্দোলনরত ম্যাটস্ শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধে হিটষ্টোক ও পুলিশ লাঠিচার্জে অন্তত ৫০ শিক্ষার্থী কমবেশি আহত হয়েছে।

বাগেরহাট কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনালের কাছে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দেড় ঘন্টা ধরে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখায় তপ্তরোদে দু’পাশে কয়েক শত গাড়ী আটকা পড়ে। শিক্ষার্থীরা রাস্তার উপর বসে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তপ্ত রোদে আন্দোলন করতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীরা হিটষ্টোকে আক্রান্ত হযে মহাসড়কে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় ঘটনাস্থলে এসে মহাসড়কের আবরোধ প্রত্যাহার করতে বললে শিক্ষার্তীরা মারমুখি হয়ে ওঠে। সংবাদকর্মীদের সাথেও অশালিন ব্যবহার করে ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। এই অবস্থায় দু’পাশে আটকে পড়া কয়েক শত যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ মুক্ত করার জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানাতে থাকলে এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জকরলে ম্যাটস শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

বাগেরহাট ম্যাটসের বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা মেডিকেল স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. গোলাম রব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়ার মাহমুদ জানান,আন্দেলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, চারদফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা সকালে ম্যাটস্ থেকে চার শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাসড়ক মহাসড়ক অবরোধ করি। সেখানে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম। পরে পুলিশ সেখানে এসে আমাদের সরানোর চেষ্টা করে। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকতে চাইলে পুলিশ আমাদের উপর চড়াও হয়ে লাঠিচাজ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে আমাদের ৩০ শিক্ষার্থী কমবেশি আহত হয়েছেন।

লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, আমি সেখানে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে শাস্ত করার চেষ্টা করি। শিক্ষার্থীরা মহাসড়কের উপর থেকে সরে গেলে দুপুরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। প্রচন্ড দাবদাহে আন্দোলন করতে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।

(একে/এএস/এপ্রিল ২৬, ২০১৭)