মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : দীর্ঘদিন ধরে একজন অফিস সহায়ক (এম এল এস এস) দিয়ে চলছে মদন উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারি প্রকৌশলী বিভাগের কার্যক্রম। ফলে এ বিভাগের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার জনগণ।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এ বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী ও অফিস সহকারী পদ শূন্য থাকায় অফিসের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। অফিস সহায়ক আলী আহম্মদ অফিস খোলা রাখলেও জনগণের কোনো উপকারে আসছে না এ বিভাগ। অফিসে চারজন নলকূপ মেকানিকের মধ্যে দুইজন কর্মরত থাকলেও কর্মকর্তা না থাকায় তারা মনগড়া ভাবে চলছে । এই বিভাগের আওতায় অনেক উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে । অথচ কোনো রকম মনিটরিং না থাকায় ঠিকাদারগণ তাদের ইচ্ছা মাফিক কাজকর্ম করে ফায়দা লুটে নিচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, উপজেলায় আর্সেনিক মুক্ত ২৫টি টিউবওয়েল খনন করলেও অধিকাংশ টিউবওয়েল পাকা হয়নি এবং পানিও উঠছে না ।

কুলিয়াটি পশ্চিম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলু রহমান আকন্দ জানান, জনস্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় আমার বিদ্যালয়ে সাড়ে আট লাখ টাকা ব্যায়ে বাথরুমসহ সাব মারসিবল পাম্প স্থাপনের কাজ চলছে। ঠিকাদার স্কুল বন্ধের দিন আমার অনুপস্থিতিতে পাইভ খনন করে ঢালাই দেয়। এতে কাজের মান খুব খারাপ হয়েছে।

পৌরসভার কোর্ট বিল্ডিং এলাকার বাসিন্দা মোঃ কুতুব উদ্দিন জনান, উক্ত জনস্বাস্থ্য অফিসে চার দিন ঘুরেও কোনো মেকানিকের দেখা পেলাম না । ফলে আমার টিউবওয়েলটি এক সপ্তাহ ধরে সামান্য ত্রুটিতে অকেজো রয়েছে।

অফিস সহায়ক আলী আহম্মদ জানান, আমি প্রতিদিন যথা সময়ে অফিস খোলি ও বন্ধ করি। কর্মকর্তা বা অফিস সহকারি না থাকায় জনগনের সেবা দেয়া সম্ভব হয় না ।

এ ব্যাপারে মদন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ- সহকারি প্রকৌশলী সুব্রত সরকার মদনের জনগণ এ বিভাগের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে এখানে কর্মরত আছি। দপ্তর থেকে জনবল নিয়োগ না হওয়াতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালীউল হাসান জানান, তিন উপজেলার দায়িত্বে একজন উপ-সহকারি প্রকৌশলী থাকায় কাজের বিঘ্ন ঘটছে বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এখানে একজন উপ-সহকারি প্রকৌশলী নিয়োগ দেওয়া জরুরী।

(এএমএ/এসপি/এপ্রিল ২৯, ২০১৭)