জান্নাত : নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে কে না চায়। আর এ কারণেই সে নিজেকে মনের মতো সাজায়। পরিপাটি থাকা বলতে মূলত একজন মানুষের শরীরের সাথে মানানসই পোশাক পরিচ্ছদ ও আনুষঙ্গিক প্রসাধনীর মিলিত অবস্থানকেই বুঝানো হয়। তবে খুব সহজেই পরিপাটি হওয়ার জন্য কয়েকটি সাধারণ বিষয় মাথায় রাখলেই চলে। বিষয়গুলো হল :

১. প্রতিদিন পোশাক ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখতে হবে। প্রয়োজনবোধে ইস্ত্রি করা যায়।

২. সময়োপযোগী পোশাক নির্বাচন ও পরিধান করা পরিপাট্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেমন : শীতের দিনে পশমি বা উলের কাপড়, গরমের দিনে সুতি কাপড় পরিধান করা।

৩. ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা যেমন : চুল, চোখ, নখ, দাঁত, নাক ইত্যাদি পরিষ্কার করে রাখা উচিত।

৪. কথা বলার স্বাভাবিক ভঙ্গি বজায় রাখতে হবে।

৫. অনুষ্ঠান, উপলক্ষ, স্থান, আবহাওয়া, বয়স, পেশা, দেহের আকার আয়তন ইত্যাদি বিবেচনা করে মানানসই পোশাক পরা উচিত। কারণ সব ধরণের ডিজাইন, সব টাইপের পোশাক সবার জন্য প্রযোজ্য নয়।

৬. পরিপাটি হওয়ার জন্য দামি পোশাকের দরকার নেই। বরং অত্যাধুনিক পোশাক না পরেও প্রচলিত ও মানানসই পোশাক পরিধান করেও পরিপাটি হওয়া যায়।

৭.সাধারণ পোশাকের সাথে আনুষঙ্গিক অন্যান্য প্রসাধনীর সমন্বয়ে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠা যায়। যেমন: শাড়ির সাথে চুড়ি, টিপ বেশ মানানসই।

৮. পোশাকের সাথে জুতা, হাতব্যাগ, গহনা এবং মেকআপ ইত্যাদির সমন্বয় সাধন করতে হবে। যেমন: শাড়ির সাথে কেডস কখনোই ভালো লাগবে না। আবার স্কুল ড্রেসের সাথে কড়া সাজগোজ বেশ দৃষ্টিকটু।

৯. পোশাকের রঙের প্রতিও খেয়াল রাখাটা জরুরি। যেমন: শাড়ির সাথে উপযুক্ত রঙের ব্লাউজ পরা, সালোয়ার কামিজের সাথে ওড়নার ব্যবহার রুচির পরিচায়ক।

পরিপাটি থাকলে যে কেবল সুন্দর দেখা যায় তা শুধু নয়, বরং এটা ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশেও সহায়ক। তাই সবসময় চেষ্টা করতে হবে পরিধেয় পোশাক ও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোর সাথে ঐক্য স্থাপন করে নিজেকে কিভাবে পরিপাটি রাখা যায়।

(জেএ/জেএ/জুন ২১, ২০১৪)