স্টাফ রিপোর্টার : মহান মে দিবসে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রমিক সমাবেশের অনুমতি পায়নি বিএনপি। সমাবেশের অনুমতি দিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চাইলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দেয়নি। পরে শ্রমিক দলের নেতারা ২ এবং ৩ মে অনুমতি চাইলে সেটি দিতেও গড়িমসি করছে তারা।

তিনি বলেন, এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ক্ষমতাসীনরা নিজস্ব সম্পত্তি মনে করে। তাদের যখন খুশি তখন তারা অনুষ্ঠান করে। আবার এমন কিছু দলকে অনুমতি দেয় যাদের সমাবেশে বাড়ির উঠান ভরে না। কারণ তারা সরকারের অনুসারী। আর বিএনপির মত দলকে তারা অনুমতি দেয় না।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, পহেলা মে সমাবেশের অনুমতির জন্য শ্রমিক দলের সঙ্গে বিএনপির হাইকমান্ড ডেলিগেশন সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক, সাবেক এমপি আবুল খায়ের ভূঁইয়া, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি তিন দিন ধরে দৌড়াচ্ছেন। একবার কমিশনার অফিস বলে ডিসি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে; ডিসি অফিস বলে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা না বললে কিছু করতে পারব না।

তিনি বলেন, আজকেও তারা ( তিন নেতা) সকাল থেকে কমিশনের অফিসে ছিলেন। কিন্তু কমিশনার অফিস থেকে বলা হয়েছে ডিসি রমনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে। রমনার ডিসি বলেছেন, আমরা উপর থেকে অনুমতি না পেলে কিছু বলতে পারব না।

রিজভী অভিযোগ করেন, বিএনপির সমাবেশের অনুমতি দিতে গড়িমসি করছে। এক ধরনের টালবাহানার মধ্যে রেখেছে। গণতন্ত্রের উৎকৃষ্ট নমুনা হচ্ছে পুলিশি অনুমতির উপরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নির্ভর করছে। এ গণতন্ত্র বিশ্বে বিরল। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুলিশি গণতন্ত্র।

পুলিশ ৫ তারিখের পরে অনুমতি দেবে সাংবাদিকদের কাছ থেকে এমন তথ্য জানার পর রিজভী বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস। সেই দিনের বাইরে পাঁচ/দশ দিন পরে করলে কি হয়? এটি তাদের টালবাহানা আর গড়িমসির একটি অংশ।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ২৯, ২০১৭)