নীলফামারী প্রতিনিধি : ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও ৭১’র বীরাঙ্গনা মায়েরা পূর্ণাঙ্গ সম্মান পান না। আমাদের সামাজে তারা অবহেলিত। বীরাঙ্গনা শব্দটি লজ্জার ও গালিগালাজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।’

শনিবার দুপুরে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আয়োজনে বীরাঙ্গনাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মিলন শেখ ভিক্ষা করে। অনেক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিকশা চালায়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা আজকে কালো গ্লাসের গাড়িতে করে চলাচল করে। বিলাসবহুল বাড়িতে থাকে।’

ব্যারিস্টার তুরিন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা সার্টিফিকেটের আশায় যুদ্ধ করেনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা বাঁচবেন না মৃত্যুবরণ করবেন সেই চিন্তাও করেনি। কিন্তু এখন কিছু মানুষ যুদ্ধ না করেও সার্টিফিকেটের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ট্রাইব্যুনাল পাঠ্য বইয়ে বীরাঙ্গনাদের কথা অন্তর্ভূক্ত করতে বলেছে। কিন্তু দুই বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি।’

ডোমার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরননবীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সহকারী কমান্ডার সহিদার রহমান মানিক, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোকছেদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গাফ্ফার, প্রেসক্লাব সম্পাদক আসাদুজ্জামান চয়ন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ২৯, ২০১৭)