স্টাফ রিপোর্টার : সাংবাদিক আহমেদ রাজুর বিষয়ে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি সমঝোতা হয়েছে। সে অনুযায়ী ওয়ালটনের আইন বিভাগ মামলা প্রত্যাহার করায় বুধবার আদালত সাংবাদিক রাজুর জামিন মঞ্জুর করেছেন।

নতুন সময় ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক আহমেদ রাজুর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলাই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ওয়ালটনের অফিসে এসে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। তাতে সিদ্ধান্ত হয়, নতুন সময় ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক আহমেদ রাজুর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলাই প্রত্যাহার করবে ওয়ালটন। অন্যদিকে ওয়ালটনের নামে বিষোদগার করা অন লাইন নিউজ পোর্টাল নতুন সময় কর্তৃপক্ষ ওয়ালটনের বক্তব্য হুবহু প্রকাশ করবে।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরীর নেতৃত্বে সাংবাদিক প্রতিনিধি দল ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

বুধবার সকালে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা সমঝোতার বিষয়টি জানালে আদালত আইসিটি মামলায় আহমেদ রাজুর জামিন মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে চাঁদাবাজির মামলার শুনানী হওয়ার কথা আজ বিকেলে। ওই মামলাটিও প্রত্যাহারের আবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

প্রসঙ্গত, নতুন সময় ডট কমের নিবার্হী সম্পাদক আহমেদ রাজু তার নিউজ পোর্টালে ওয়ালটনের বিপক্ষে তিনি ভিত্তিহীন, মনগড়া রিপোর্ট করেন। এতে ওয়ালটনের সুনাম ও ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটির আইন বিভাগ রাজুর বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের ৫৭/৬৬ ধারায় রমনা থানায় মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় তাকে গত ৩০ এপ্রিল গ্রেপ্তার করে একদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। পল্টন থানায় চাঁদাবাজির আরেকটি মামলায় পরে তাকে আরো একদিন রিমান্ড দেয়া হয়।

মামলার এজাহার অনুযায়ী গত ৮ মার্চ নতুন সময় ডটকমের সম্পাদক সওগাত হোসেন বাবলু, নির্বাহী সম্পাদক আহমেদ রাজু ও মার্কেটিং অফিসার সালাউদ্দীন পরস্পর যোগসাজশে ওয়ালটনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তখন ওয়ালটন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা তাদের অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য বলে। ওয়ালটন তাতেও রাজি না হওয়ায় গত ১৫ এপ্রিল নতুন সময় ডটকমের পক্ষ থেকে হুমকি দেয়া হয় বিজ্ঞাপন না দিলে ওয়ালটনের বিপক্ষে সিরিজ রিপোর্ট করা হবে। পরে ২৩ এপ্রিল থেকে ওয়ালটনের বিপক্ষে পর পর তিনটি মনগড়া মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। যা বিভিন্ন সচেতন মহলে দেশীয় ব্র্যান্ড ও দেশীয় শিল্পের ক্ষতিসাধনের অপচেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত হয়।

নতুন সময় ডটকমে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বিষয়টি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের নজরে আনা হয়। তারা এ বিষয়ে উদ্যোগ নেন। কিন্তু আহমেদ রাজু সবার কথা অগ্রাহ্য করেন। বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ বিষয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ালটনের আইন বিভাগ আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়।

(ওএস/এএস/মে ০৪, ২০১৭)