ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুর শিবপুর এল.ইউ আলিম মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বিলে সভাপতি প্রতিস্বাক্ষর না দেয়ার কারণে ১৮জন শিক্ষক-কর্মচারী দুই মাস যাবৎ বেতন-ভাতা বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

অপরদিকে অর্থ বছরের শেষ মাস জুনেও বেতন-ভাতা বিলে সভাপতি প্রতিস্বাক্ষর না দেয়ার কারণে দু’মাসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৩লক্ষ ৮৮হাজার ৩৬৮টাকা না পাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। বেতন-ভাতা বঞ্চিত শিক্ষকরা শনিবার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মফিজ উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে জানান, কমিটি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির অভিযোগে মাহফুজ উল্লাহকে অপসারণ করা হয়েছিল। বিক্ষুব্ধ মাহফুজ উল্লাহ হাইকোর্টে রিট আবেদন করে সভাপতি পদে পুনঃবহাল হন। শিক্ষক কর্মচারীদের হাইকোর্টে রিটের প্রেক্ষিতে এপ্রিল ও মে দু’মাসের বেতন-ভাতার ভাউচারে সভাপতি হিসাবে মাহফুজ উল্লাহকে স্বাক্ষর প্রদানের আদেশ দিলেও তিনি স্বাক্ষর প্রদান করেনি। বেতন-ভাতা উত্তোলনের শেষ দিন ১৯জুন তারিখ পর্যন্ত কয়েকদফা চেষ্টা করলেও তিনি প্রতিস্বাক্ষর প্রদান করেননি। এ সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরও জানান, সভাপতি হাইকোর্টে রিট করতে ২লক্ষ টাকা খরচ করেছে, আমার নিকট এ টাকা চেয়েছেন। এ ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য সভাপতির ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে দু’মাসে শিক্ষক-কর্মচারীদের ৩লক্ষ ৮৮হাজার ৩৬৮টাকা না পাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আরবি প্রভাষক মো. উছমান গণি, বাংলার মমতাজ বেগম, অর্থনীতির কাজী হুসনেয়ারা, আরবির হাবিবুর রহমান, সহকারি শিক্সক দিলীপ কুমার অধিকারী, মোজাম্মেল হক, মতিউর রহমান, সহকারি মৌলভী রফিকুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ, ইবি প্রধান মনজুরুল হক, আনোয়ারা বেগম, সালাহ উদ্দিন, দপ্তরী শামছুল হক, গার্ড কাজিম উদ্দিন প্রমুখ। এছাড়াও ১৯জুন স্বাক্ষর নেয়ার লক্ষে দিনভর সভাপতির বাসায় অবস্থান করলে পিছনের দরজা দিয়ে বেড়িয়ে যান বলে শিক্ষকবৃন্দ অভিযোগ করেন। ওই প্রেসক্লাবেও এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

(এসএইএম/এএস/জুন ২১, ২০১৪)