ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার মনপুরার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বাঁধের সাড়ে তিন কিলোমিটার ভেঙে মনপুরার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামসহ চারটি ওয়ার্ডে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে। এতে সেখানকার ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।

এলাকাবাসী জানান, পূর্ণিমার জোয়ারে পানি বেড়ে এলাকাটি প্লাবিত হয়েছে। ভাটার সময় পানি সামান্য কমলেও বেশির ভাগ পানি থেকে যায়। এর ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন সেখানকার মানুষ।

এদিকে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে শত শত একর জমির ফসল। পানির তোড়ে ভেসে যাচ্ছে পুকুরের মাছ, গবাদি পশুসহ নানা প্রজাতির প্রাণি। পানির হাত থেকে বাঁচতে এলাকাবাসী পরিবারের সদস্য ও গৃহপালিত পশু নিয়ে অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্ধারিত সময়ে বাঁধ নির্মাণ করলে তাদের এমন ভোগান্তি পোহাতে হতো না। এ জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেছেন। ঘূর্ণিঝড় মহাসেনসহ কয়েক দফা বন্যা ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি চাপে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সাড়ে তিন কিলোমিটার ভেঙে যায়। ওই সময় মেরামত না করায় পুরো বাঁধ এখন বিধ্বস্ত।

চাঁন মিয়া নামের সাকুচিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৬০ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, অনেক আগে বেড়ি ভেঙে গেলেও প্রশাসন এদিকে কোন খেয়াল দেয়নি। তাদের কারণে এখন আমরা ভুগছি। জানি না কপালে আল্লাহ আর কত কি রাখছে।

মরপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকী জানান, দ্রুত বেড়ি বাঁধ নির্মাণ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মনপুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, দুই ধাপে বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। জোয়ারের চাপ বেশি থাকায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

(ওএস/এস/জুন ২১, ২০১৪)