সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ও নার্সকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বাসার (অস্থায়ী ভাবে নিয়োগকৃত) চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী লাকী খাতুন (৩৮) ১৬৪ ধারায় আদালতে দেওয়া জবান বন্দীতে খাদ্যে বিষ প্রয়োগের কথা স্বীকার করেছে।গত রবিবার সন্ধ্যায় কাজীপুর উপজেলার বেড়ী পোটল গ্রামের জহরুল ইসলামের স্ত্রী লাকি খাতুনকে সিরাজগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়।

এ সময় লাকি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয় বিচারক জবানবন্দী রেকর্ড করার পর তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত ও পুলিশের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ দিকে লাকির দেওয়া তথ্যমতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কাজীপুর উপজেলার টিকোভিটা গ্রামের তমসের আলী নামের এক কবিরাজকে আটক করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

পুলিশসূত্রে জানা যায়, লাকি খাতুন তার লিখিত জবানবন্দীতে উল্লেখ করে বলেছে, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান তার সঙ্গে অনৈতিক সর্ম্পক অব্যাহত রাখতে চাপ সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে সে ক্ষুব্ধ হয় এবং মনিরুজ্জামানকে সায়েস্তা করার জন্য সুযোগ খুজঁতে থাকে। পাশের গ্রামের কবিরাজ তমসের আলীর নিকট থেকে ওষুধ (বিষ) সংগ্রহ করে।

গত ২৫ এপ্রিল শনিবার দুপুরে প্রধান সহকারি আলমগীরের বাসা থেকে খাবার আনার সময় তরকারির সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে দেয় লাকি। পরে তারা সেই খাবার খায়। খাবার খাওয়ার পরে তাদেরকে অসুস্থ অবস্থায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মনিরুজ্জামান ও জোবেদা খাতুন মারা যান।

এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, এই মুহুর্তে কোন তথ্য প্রদান করা সম্ভব নয়। তবে তমসের আলী নামের এক কবিরাজকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে আদালতে জবানবন্দী রেকর্ড শেষে লাকি খাতুনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া লাকির দেওয়া তথ্যমতে আরও বেশ কয়েকজনকে আটকের জন্য পুলিশী অভিযান চলছে বলে জানা গেছে।

(এমএস/এসপি/মে ০৮, ২০১৭)