স্টাফ রিপোর্টার : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির উদ্দিন মিলনায়তনে বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতির সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মনে করি ইভিএম পদ্ধতি একটি আধুনিক পদ্ধতি এবং প্রযুক্তিগতভাবে এতে ভুল হওয়ার সম্ভবনা নেই। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে নির্ভুল এবং নিরপেক্ষ ফলাফল পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, কোনো কিছু ভালো করতে গেলেই, তারা বলে মানি না, মানবো না। ইভিএমের মতো একটি পদ্ধতির বিরোধিতা বিএনপি করে যাচ্ছে। এটা সিদ্ধান্ত নিবে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু আমাদের দলীয় অবস্থান ইভিএমের পক্ষে, তা দেশবাসী এবং নির্বাচন কমিশনকে জানানোর অধিকার আমাদের রয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। তারা যদি আমাদের ডাকেন, তাহলে আমরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরবো।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আগামী নির্বাচনে ইথিএম ব্যবহারের প্রস্তাব করেছেন। আর আমরাও তা সমর্থন করেছি।

বিএনপি চেয়ারপারসন ঘোষিত ভিশন-২০৩০ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভিশন-২০২১ এবং ২০৪১ কে অনুকরণ করে আরেকটা নকল ভিশন ২০৩০ হয়ে গেছে। বেগম খালেদা জিয়ার নকল ভিশন।

তিনি বলেন, দেশে জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা উগ্রবাদীদের নিয়ে খালেদা জিয়ার ভিশনে কিছু নেই। সাম্প্রদায়িকতার কোনো কথা নেই। তার মানে, এ দেশে জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা উগ্রবাদীদের পৃষ্টপোষকতা করছে বিএনপি। এই ভিশনের মাধ্যমে এটাই তারা প্রমাণ করে দিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা ২০০১ সালেও ভিশন দিয়েছিলেন, আমি বলতে চাই, আপনাদের ওই ভিশন ছিল আহসান উল্লাহ মাস্টার, কিবরিয়া সাহেব, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার হাওয়া ভবন ভিশন। যেই ভিশনে ২১ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। বিচারপতি আজিজকে দিয়ে এক কোটি ২৩ হাজার ভুয়া ভোটার বানানো হয়েছিল। বাংলাদেশের জনগণ এইসব ভুলে যায়নি।

নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার বলে কোনো কিছু সংবিধানে উল্লেখ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকার দায়িত্ব পালন করে সেভাবেই শেখ হাসিনা সরকার দায়িত্ব পালন করবেন। আর নির্বাচন হবে সরকারের নয়, নির্বাচন কমিশনের অধীনে। পুলিশ, প্রশাসন সবকিছু থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকার রুটিন ওয়ার্ক করবে। তাই এটা মানতে অসুবিধা কোথায়?

সরকারি কর্মচারী সমিতির এই সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, এ কে এম এনামুল হক শামীম, শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/মে ১৩, ২০১৭)