স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ এবং অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষিত ও স্ব-শিক্ষিত মায়েদের ভূমিকা। এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই আমরা ক্ষমতায় থাকার সময় নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটিয়েছিলাম।

১৪ মে ‘আন্তর্জাতিক মা দিবস’ উপলক্ষে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বছরের বিভিন্ন দিনে মা দিবস পালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ১৪ মে দিবসটি পালিত হয়।

খালেদা জিয়া বলেন, জন্মদাত্রী মাকে ঘিরেই আবর্তিত হয় পরিবারের সকল কার্যক্রম। মা হচ্ছেন এক অনন্য বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান। মহিয়সী মায়ের তত্ত্বাবধানেই শিশুকাল থেকে ছেলে-মেয়েরা সুসন্তান হিসেবে গড়ে ওঠে। আবহমান কাল ধরেই এই অমোঘ ধারা চলে আসছে।

খালেদা জিয়া বলেন, নম্রতা, বিনয়, সৌজন্য, ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা হচ্ছে সুমাতার চিরকালীন বৈশিষ্ট্য। সুমাতার সাহচার্য সন্তানের উৎকর্ষতা ও প্রকৃত মানবসত্ত্বার জাগরণ ঘটায়, সন্তানের আত্মাকে করে নির্মল, স্বচ্ছ ও পবিত্র। নিষ্ঠা সহকারে দায়িত্ব পালন ও গ্রহণ করতে মায়েরা থাকেন সন্তানদের নিকট অগ্রপথিক।

বিএনপির চেয়াপারসন বলেন, আমাদের সময়ে স্কুল থেকে ছাত্রীরা যাতে ঝরে না পড়ে তার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দায়িত্বশীল, শিক্ষায় আলোকিত মায়েদের সুসন্তানরাই দীর্ঘদিনের অচলায়তন ভেঙে সামাজিক অগ্রগতি তরান্বিত করবে এবং জাতীয় উন্নয়নকে করবে বেগবান ।

খালেদা জিয়া বলেন, আজকের দিনে আমার প্রত্যাশা সকল মা যেন তার সন্তানদের যোগ্য ও সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হন। বর্তমান দুঃসময়ে সামাজিক অবক্ষয়ে জনজীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। নারী-শিশুর ওপর নির্যাতনের হিড়িকে ভয়ানক নৈরাজ্যে সমাজে বিপজ্জনক পরিস্থিতি বিরাজমান। এমতাবস্থায় সন্তানকে নির্ভুল, সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে কেবলমাত্র সুমাতা। যাতে জাতির আগামী ভবিষ্যত উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়।

(ওএস/এসপি/মে ১৩, ২০১৭)