স্টাফ রিপোর্টার : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বেগম খালেদা জিয়া শুধু মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিই অবমাননা করেননি, ৭১’র পরাজিত পাকিস্তান ও তাদের এ দেশীয় এজেন্টদের মিথ্যা প্রচারণাকে প্রশ্রয় দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত জোট মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দিতে নিয়ত তৎপর ছিল কিন্তু জাগ্রত জনতা তাদের সে চক্রান্তকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।

২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় আরও বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চের কালো রাতে মানব ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব উ থান্ট বলেছিলেন, এ ভয়াবহতম হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রকাশ করা মার্কিন দলিলপত্রেও গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে।

তিনি বলেন, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি সংস্থা জরিপ চালিয়ে জানায়, মুক্তিযুদ্ধে কমপক্ষে তিন মিলিয়ন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ২৫ মার্চের প্রথম প্রহরে নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞে হতচকিত জাতি মুহূর্তেই ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছে এবং বিভিন্ন স্থানে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। ২৫ মার্চ শুধু বেদনার দিনই নয়, এটি আমাদের প্রতিরোধের প্রতীকও বটে।

২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেতে শুধু জাতীয় সংসদে প্রস্তাব পাসই যথেষ্ট নয়। এর জন্য নিরবিচ্ছিন্ন প্রচারণা চালাতে হবে। কূটনৈতিক চ্যানেলেও তৎপরতা চালাতে হবে। সামাজিক মাধ্যমগুলোকেও ব্যবহার করতে হবে।

(ওএস/এএস/মে ১৩, ২০১৭)