লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় এক সাংবাদিককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে এক গৃহবধূ। নিজের কুকৃতি ও স্বামীর বেহায়াপনা ঢাকার জন্য এ জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (৩০ এপ্রিল) সকালে লোহাগড়া পৌরসভার গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত বিল্লাল সরদারের ছেলে খালিদুর রহমান ছোটন (৩০) তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানা দিপাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মদিনা পাড়ায় বোন ইতি বেগমের বাসায় বেড়াতে যায়। বিকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই বোনের বাসায় ছোটন তার স্ত্রীর ওপর চড়াও হয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে আয়রণ দিয়ে স্যাকা দেয় ও লোহার রড় দিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে।

এ সময় দিপার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে ঘরের দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে দিপা ঘরের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়লে ছোটন তার স্ত্রী দিপাকে আয়রণের তার গলায় জড়িয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা চালায়।

পরে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে ছোটন সেখান থেকে সটকে পড়ে। এ সময় এলাকাবাসী আহত গৃহবধুকে উদ্ধার করে স্থানীয় বৈদ্যনাথ ক্লিনিকে ভর্তি করে। সন্ধ্যায় লোহাগড়া থানার একদল পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রাতে ও লোহাগড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কমিশনার গিয়াস উদ্দিন ভুইয়ার উপস্থিতিতে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে একটি অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনাকে পুঁজি করে লোহাগড়া এলাকার কতিপয় ভূইফোঁড় সাংবাদিক ফুসলিয়ে ওই গৃহবধু নাসরিন সুলতানাকে বাদী করে সাংবাদিক এস এম আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করে। লোহাগড়া থানার মামলা নং ০৫/১০৬, তারিখ ০২.০৫.১৭ইং।

এহেন মিথ্যা, ভিত্তিহীত ও হয়রানি মুলক মামলার কারনে এলাকায় সাংবাদিক ও সর্ব সাধারণের মধ্যে এক বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সম্পুর্ণ মিথ্যা মামলাটি কি ভাবে থানায় দায়ের হলো এ নিয়ে জনগণের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘উর্দ্ধতণ কর্তৃপক্ষ ও রাজনীতিবিদের কারণে এ মামলা আমলে নেয়া হয়েছে’।

(ওএস/এসপি/মে ১৪, ২০১৭)