স্টাফ রিপোর্টার : সহকর্মীসহ গণমাধ্যমকর্মীদের মাথায় গাছের ছায়ার মতো থেকে কাজ করেছেন সাংবাদিক এম ওমর ফারুক। যেকোনো প্রয়োজনে সব সময় সবার পাশে থাকতেন তিনি। তার মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজ তাদের মাথার উপরের ছায়া হারিয়েছে।

রবিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্থায়ী সদস্য, বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি ও নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এম ওমর ফারুকের স্মরণ সভায় তার সহকর্মীরা এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এ স্মরণ সভার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ওমর ফারুক ছিলেন একজন সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিক। সাংবাদিকদের আস্থার সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ গণমাধ্যম কর্মীদের যেকোনো প্রয়োজনে তিনি ছুটে আসতেন। খুব অল্প সময়ে তিনি সবার সঙ্গে মিশে যেতে পারতেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজ একজন অভিভাবক হারিয়েছে।

বক্তরা আরও বলেন, সাংবাদিকতা পেশায় সাধারণত কেউ কাউকে সহযোগিতা করতে চায় না, এ পেশায় এমন একটি সত্য কথা প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু ফারুক ভাই ছিলেন এর ব্যতিক্রম। বিপদে-আপদে সময় অসময়ে তিনি ছিলেন সদা হাস্যোজ্জল একজন মানুষ। সাংবাদিকতা ছাড়াও ওমর ফারুক ছিলেন ভ্রমণ পিপাসু ব্যক্তি। সহকর্মীদের নিয়ে দলবেঁধে ভ্রমণ তিনি পছন্দ করতেন।

তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন প্রত্যেকে।

কর্মজীবনে দৈনিক সমাচার, দৈনিক রুপালি, দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক যুগান্তর ও বাংলা ট্রিবিউনে কাজ করেছেন ওমর ফারুক।

সংবাদ সংগ্রহ শেষে গত ২৯ এপ্রিল দুপুরে অফিসের গেটে পৌঁছানোর পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নেয়া হয় স্কয়ার হাসপাতালে। পরে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ খান, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অমিতোষ পাল, সাংগঠিনিক সম্পাদক মতিন আব্দুল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক রেজা করিম, নির্বাহী সদস্য শাহেদ শফিক, ডিআরইউয়ের সিনিয়র সদস্য আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ, স্ত্রী সানজিদা ওমর সৈকত, বড় মেয়ে ফারিহা ওমর ইরা, ছোট মেয়ে দীপিকা ওমর দিয়া প্রমুখ।