স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ দুই হাজার কোটি ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এ নিয়ে বিকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, সদ্য শেষ হওয়া মার্চ মাসে ১২৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলার রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা এ যাবৎকালে দেশে আসা তৃতীয় সর্বোচ্চ।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম এবং ১৯ মার্চ দ্বিতীয়বারের মতো রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। পরে ৫ মার্চ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মেয়াদের ৯৬ কোটি ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। প্রতি দুই মাস পর পর আকুর বিল পরিশোধ করতে হয়।

গত কয়েক দিনে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ধারার কারণে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে বলে জানান কাজী ছাইদুর রহমান।

খাদ্য আমদানি না হওয়ায় তা রিজার্ভ বাড়াতে অবদান রেখেছে বলে জানান তিনি।

২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের ৭ মে তা ১৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। আর গত ১৯ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় ১৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান রিজার্ভ সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের রিজার্ভ ৩০০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি; আর পাকিস্তানের ১০ বিলিয়ন ডলারের মতো।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের হাতে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। তবে বাংলাদেশে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ রয়েছে তাতে ছয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


(ওএস/এটি/এপ্রিল ১০, ২০১৪)