শরীয়তপুর প্রতিনিধি : পারিবারিক কলহ দূরীকরণ এবং সুখী দাম্পত্য জীবনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ‘সুখী দম্পতি মেলা’ ও ‘মাদক বিরোধী কনসার্ট’ এর আয়োজন করা হয়েছে।

শরীয়তপুর জেলা পুলিশের উইমেন্স অ্যান্ড চাইল্ড সাপোর্ট সেন্টার এবং জেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে ১৪ মে রোববার শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্স মাঠে এ মেলার আয়োজন করা হয়। মেলার উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক ও শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হক।

মেলায় দিনব্যাপী প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন দম্পতিরা। মাতিয়ে রাখেন মেলা প্রাঙ্গণ। এছাড়াও ছিল শিশুদের জন্য নাগরদোলা, সাপের খেলা, বানরের খেলা এবং জাদু প্রদর্শনী। ছিল বিভিন্ন কোম্পানির ১৫টি স্টল।

সন্ধ্যায় সুখী দম্পতিদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।

সুখী দম্পতি সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, দিল্লিকা লাড্ডু যে খাবে সে পস্তাবে। যে না খাবে সেও পস্তাবে। তবে খাওয়ার মধ্যে আনন্দ অনেক। শুধু বিয়ে করলেই পস্তাবে এমন নয়। একজন দম্পতির জীবন খুব আনন্দের হয় যদি দুজনের মধ্যে সহমর্মিতা থাকে।

মেলার আগে এক হাজার শব্দের মধ্যে ‘সুখী দাম্পত্য জীবনের গল্প’ শিরোনামে জীবনের গল্প লিখে জমা নেয়া হয়। ২৫ বছর থেকে ৩৫ বছর, ৩৬ থেকে ৫০ এবং ৫১ থেকে তদূর্ধ্ব বয়সের দম্পতিরা তিন ক্যাটাগরিতে গল্প জমা দেন। তাদের মধ্য থেকে ১০ জন সুখী দম্পতিকে সম্মাননা স্মারক ও সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া লটারির মাধ্যমে ৫০ জন দম্পতিকে পুরস্কার দেয়া হয়।

দম্পতি মেলা সুখের ঠিকানা এমনটাই বললেন ৩৬ থেকে ৫০ বৎসরের ক্যাটাগরী সুখী দম্পতি সম্মামনা পাওয়া প্রথম স্থান অধিকারী মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ ও মিসেস আসমা খাতুন।

মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ ও তার স্ত্রী মিসেস আসমা খাতুন বলেন, সুখী দম্পতি হতে হলে দুজনের মধ্যে সেক্রিফাইস, কম্প্রোমাইস, অল্পতুষ্ট, নিরলোপ, হালাল উপার্জন, পরস্পরকে ভালোবাসা ও একে অপরকে প্রধান্য দিতে হবে। তাহলেই সুখী দম্পতি হওয়া যাবে। এর ভিতর যদি একটি কম থাকে তাহলে সুখী হওয়া অসম্ভব।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইজিপি একেএম শহীদুল হক।

শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নাহিম রাজ্জাক, অ্যাড. নাভানা আক্তার, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি অনল কুমার দে ও শরীয়তপুর সদর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল।

(ওএস/এসপি/মে ১৫, ২০১৭)