স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীতে নেতাকর্মীদের দুইপক্ষের হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় পণ্ড হয়ে গেছে ঢাকা জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভা। হট্টগোলের মধ্যে বক্তব্য না দিয়েই অনুষ্ঠানস্থল ছাড়তে হয় সভার প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে।

রবিবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমান উল্লাহ আমানের সমর্থকদের মধ্যে এ মারামারির ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনও উপস্থিত ছিলেন। তার বক্তব্যের পর সঞ্চালক ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের বক্তব্যের জের ধরে দুইপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়।

এ সময় মঞ্চ অতিথিদের লক্ষ্য করে সামনে বসা নেতাকর্মীরা পানির বোতল ছুড়ে মারেন। মঞ্চে তখন বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমান উল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

দুই দফায় নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির পর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সভাস্থল থেকে বের হয়ে যান। এরপর একে একে খন্দকার মাহবুব হোসেনও চলে যান। তবে বের হয়ে যাওয়অর সময় বাধার সম্মুখীন হন আমান উল্লাহ আমান।

পরে মিলনায়তনে খানিকক্ষণ অপেক্ষা করে পরে দ্রুত সভাস্থল ত্যাগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেরাণীগঞ্জের আমিনবাজার ইউনিয়নের যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন মাহমুদ পান্না বলেন, ‘আমান ভাই তার বক্তব্যে যার যার এলাকায় নেতা বানানোর কথা বলেন। তার কথার প্রেক্ষিতে আশফাক ভাই (ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক) বলেন- রাজপথে শুধু রক্ত দিলেই কি শেষ হয়? তার এ কথার প্রেক্ষিতেই দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকক বিএনপির এক নেতা বলেন, ‘মারামারি হয়েছে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমান উল্লাহ আমানের সমর্থকদের মধ্যে। তারা দুইজনই কেরাণীগঞ্জের নেতা।’

(ওএস/এসপি/মে ১৫, ২০১৭)