শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’র  দায়ের করা মামলায় সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও আংগারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার কামালকে গ্রেফতার করেছে দুদক। মঙ্গলবার দুপুরে দুদকের সহকারি পরিচালক ফজলুল বারী পুলিশের সহায়তায় আনোয়ার কামালকে আঙ্গারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে সিনিয়র জুডিসিয়াল মেজিষ্ট্রট মো. মুনিরুজ্জামান তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আঙ্গারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ একর ৭১ শতাংশ জমি ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকারের অনুমতি ছারা অবৈধভাবে বিক্রি করে আনোয়ার কামাল ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ২০১৪ সালের আগষ্ঠ মাসের ৬ তারিখে দুদকের উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহা বাদী হয়ে দুর্নীতি কমিশনের আইনে ১৫ ব্যক্তিকে আসামী করে দুইটি মামলা দায়ের করেন। প্রথম মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের পর আনোয়ার কামাল সহ ১৫ জনের মধ্যে ১২ আসামী ২০১৫ সালের ১৯ আগষ্ট কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়।

বিদ্যালয়ের জমির পর্চা জাল সৃজন, শ্রেণী পরিবর্তন ও বাজার মুল্য থেকে প্রায় ৩ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা কম দরে জমি বিক্রি করে এবং সরকারের প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকির দায়ে তৎকালিন সদর উপজেলা সাব রেজিষ্টার আবু তালেম মিয়াকে প্রধান করে জমি ক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম ও তার ভাই আব্দুস সালাম ও প্রধান শিক্ষক আনোয়ার কামালসহ দলিল লেখক জসিম উদ্দিনকে আসামী দুদকের দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন মলয় কুমার সাহা। এই মামলায় ইতিপূর্বে প্রধান আসামী আবু তালেম কারা বাস করেন এবং পরবর্তীতে মৃত্যু বরণ করেন। মঙ্গলবার আনোয়ার কামালকে গ্রেফতারের পর মামলার অপর তিন পলাতক আসামী জাহাঙ্গীর আলম তার ভাই আব্দুস সালাম ও দলিল লেখক জসিমকে খুঁজজে দুদক।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ফজলুল বারী বলেন, জাল পর্চা সৃজন, জমির শ্রেণী পরিবর্তন, কম মুল্য নির্ধারণ ও সরকারের ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ৮২০ টাকা রাজস্ব ফাঁকির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে মামলার ৪ নম্বর আসামী আনোয়ার কামাল প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন। অন্যান্য আসামীগন পলাতক রয়েছে।

(কেএনআই/এএস/মে ১৭, ২০১৭)