আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন সেনাবাহিনী দেশে এবং বিদেশে সবচেয়ে বেশি দূষণ সৃষ্টি করে। স্বতন্ত্র নিউজ পোর্টাল মিন্ট প্রেসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, মার্কিন পাঁচ বৃহৎ রাসায়নিক কারাখানা একযোগে যে পরিমাণ বিষাক্ত বর্জ্য সৃষ্টি করে, মার্কিন সেনাবাহিনী একাই তার চেয়ে অনেক বেশি বিষাক্ত বর্জ্য সৃষ্টি করছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর সৃষ্ট এসব বিপজ্জনকরাসায়নিক বর্জ্যের মধ্যে গোলাবারুদে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়াম, জ্বালানি তেলের অবশিষ্টাংশ, এজেন্ট অরেঞ্জ নামে পরিচিত উদ্ভিদের পাতা বিনষ্টকারী মারাত্মক বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান, সীসা, বিষাক্ত কীটনাশকসহ আরো অনেক রাসায়নিক উপাদান রয়েছে।

এছাড়া, মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো থেকে চুইয়ে পড়া জেট বিমান এবং রকেটের জ্বালানির বিষাক্ত উপাদান ভূগর্ভস্থ পানিসহ সুপেয় পানির উৎসকে দূষিত করছে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশ সম্মিলিতভাবে যতপরমাণু বোমার পরীক্ষা করেছে আমেরিকা একাই তার চেয়ে বেশি পরীক্ষা করেছে। এতে প্রশান্ত মহাসাগরের বিপুল সংখ্যক দ্বীপপুঞ্জে মারাত্মক তেজস্ক্রিয় দূষণের শিকার হয়েছে।

১৯৪৬ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে ৬০র বেশি পরমাণু পরীক্ষা চালিয়েছে আমেরিকা। এতে সেখানকার পরিস্থিতি এতই ভয়াবহ হয়েছে যে, গত কয়েক দশক ধরে এ দ্বীপপুঞ্জের মানুষতুলনামূলকউচ্চ হারে ক্যান্সারের কবলে পড়ছে।

ইরাকে২০০৩ সালে মার্কিন আগ্রাসনের ফলে দেশটির পরিবেশের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়েছে তানিয়ে একটি গবেষণা হয়েছে ২০১০ সালে। এতে দেখা গেছে, মার্কিন আগ্রাসনের ফলে দেশটির ৯০ শতাংশ ভূমিতে মরুকরণ প্রক্রিয়া মারাত্মক রূপ নিয়েছে। ইরাক এককালে খাদ্য রফতানিকারী দেশ ছিল। কিন্তু মার্কিন আগ্রাসনের পর আরব দেশটি এখন নিজ দেশের মানুষের প্রয়োজন মেটাতে ৮০ ভাগ খাদ্যআমদানি করতে বাধ্য হচ্ছে।

(ওএস/এসপি/মে ১৭, ২০১৭)