আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভেনেজুয়েলায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরসহ তিনজন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির আইনজীবীরা জানান, ছয় সপ্তাহ ধরে চলা সরকার বিরোধী আন্দোলনে এ পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন।

বিক্ষোভের বর্তমান এই পরিস্থিতি ২০১৪ সালের ভয়াবহ ও রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মতো করে তুলছে। ২০১৪ সালের সরকারবিরোধী ওই আন্দোলনে ৪৩ জন নিহত হয়েছিল।


আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর কট্টর সমালোচক অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস এর পরিচালক লুইস আলমাগরো বলেন, তারা জনগণকে নির্যাতন ও হত্যা করছে। এই পরিস্থিতি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বুধবার ভেনেজুয়েলার সংকট নিয়ে আলোচনা করবে বলে নিউইয়র্কের কূটনীতিকরা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে বুধবার সকালে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ক্ষমতা বাড়ানোর প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে গত ১ এপ্রিল বিক্ষুব্ধ বিরোধীরা ভেনেজুয়েলার রাস্তায় নেমে আসেন। সশস্ত্র সহিংসতার জন্য সরকার ও বিরোধীরা একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এক বিবৃতিতে জানান, পশ্চিমাঞ্চলীয় পেদরাজা শহরে বিক্ষোভ চলাকালে সোমবার ওই কিশোরের মাথায় গুলি লাগার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

সান অ্যান্টোনিও ডি লোস আল্টোস ও তাচিরা নগরীতে বিক্ষোভ চলাকালে একদল লোক এসে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে ওই কিশোরের মাথায় গুলি লাগে। এছাড়া ৩১ ও ৩৩ বছর বয়সী আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

কেন্দ্রীয় ডানপন্থী বিরোধীদল সমাজতান্ত্রিক নেতা মাদুরোকে খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতির জন্য দোষারোপ করেছে। মাদুরোকে অপসারণের জন্য তারা আগাম নির্বাচন দাবি করেন। কিন্তু মাদুরো সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ২০১৮ সালের শেষের দিকে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে কোনো রকম নির্বাচন হবে না।

(ওএস/এসপি/মে ১৭, ২০১৭)