শরীয়তপুর প্রতিনিধি : পল্লী বিদ্যুতের নিরবিবিচ্ছন্ন সরবরাহের দাবিতে শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়ায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল (ঝাড়ু মিছিল) ও বিদ্যুতের অফিস ঘেরাও কর্মসুচি পালন করেছেন এলাকাবাসী। বুধবার বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত জেলার জাজিরা উপজেলার কাজীর হাট বন্দরে শত শত ব্যবসায়ী ও কর্মচারিরা ঢাকা-শরীয়তপুর মহা সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় মহাসড়কে প্রায় ১ ঘন্টা সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাজীর হাট বন্দর কমিটির সভাপতি ফজলুল হক টেপা, ব্যবসায়ী শফিজদ্দিন খলিফা, নুরুল আমিন মাদবর, মোখলেছ মাদবরসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানার মালিক ও শ্রমিকগন।

অপর দিকে একই সময়ে জেলার নড়িয়া উপজেলা সদরে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ও শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা নড়িয়া পল্লী বিদ্যুতের অফিস ঘেরাও করতে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পরে। নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন থানার ওসি মো. ইকরাম আলীর প্রতিশ্রুতিতে বিক্ষোভ থেকে সড়ে আসেন দুর্ভোগের শিকার আন্দোলনকারিরা।

সারা দিনে মাত্র ২-৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহের কারনে কাজীর হাট বন্দরের ৩ শতাধিক ছোট বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা । তারা ২৪ ঘন্টায় ন্যুনতম ১৬ ঘন্টার বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানান পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে।

উল্লেখ্য, শরীয়তপুর জেলার ৬টি উপজেলাতেই পল্লী বিদ্যুতের সীমাহীন দুর্ভোগে অতিষ্টি হয়ে উঠেছে সর্বস্তরের মানুষ। কোন এলাকাতেই ২৪ ঘন্টায় ৩ ঘন্টার বেশী বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় ব্যবসা বানিজ্য, শিল্প কারখানা, অফিস আদালত, শিক্ষার্থীদের পড়া লেখা সব কিছুতেই বিরূপ প্রভাব পরছে। তাই, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন সকলে।

শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুতের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার (কারিগরী) প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, জাতীয় গ্রীড থেকে প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়ায় এবং সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘূর্নিঝড়ে বেশ কিছু লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় লোড সেডিং বেশী হচ্ছে। আমরা রমজানের আগেই এ অবস্থার উন্নয়ন করতে পারবো।

(কেএনআই/এএস/মে ১৭, ২০১৭)