তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : বর্তমান সময়ে বাসাবাড়ি, অফিস, কলেজে এমন কি গাড়িতেও ওয়াইফাই থাকা আমাদের জন্য অপরিহার্য। সারাদিনই আমাদের থাকতে হচ্ছে ওয়াইফাই রেডিয়েশন এর মধ্যে। এর থেকে বের হয়ে আসার ও কোন পথ নেই। প্রযুক্তি যত উন্নত হয়ে উঠছে দিন দিন এর বিকিরন আমাদের ক্ষতির মূল কারণ হয়ে দাঁড়াবে, যা খালি চোখে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মডেম, রাউটারগুলি থেকে বের হওয়া বিকিরন আমাদের মারাত্মক ক্ষতি করছে, বিশেষ করে শিশুদের। এর বিকিরন বায়ুকে করে তুলছে দুষিত।

স্বাস্থ্যজনিত নিরাপত্তা বিবেচনায় ওয়াইফাই রাউটার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানেরও কিছু কঠোর নিয়ম মেনে চলা উচিত। রাউটারের নির্গত তরঙ্গ পথ বিভিন্নভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী রাউটার মানুষ, এমনকি গাছপালার বিকাশেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

ওয়াই-ফাইয়ের ক্ষতিকর প্রভাব

১। মনোযোগে সমস্যার সৃষ্টি।
২। কানে তীব্র ব্যথা অনুভব।
৩। প্রচুর পরিমাণে মাথা ব্যথা।
৪। দীর্ঘমেয়াদী ক্লান্তি অনুভব।
৫। ঘুমের সমস্যা।

ক্ষতিকর প্রভাবগুলো এড়াতে যা যা করণীয়

১। ঘুমাতে যাওয়ার আগে আবশ্যই ওয়াই-ফাই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন/অফ করুন।
২। ওয়াই-ফাই ও রাউটার নেটওয়ার্ক থেকে নিজেকে একটু নিরাপদ দূরত্বে রাখা।
৩। রান্নাঘর এবং বেডরুমে ভুলেও রাউটার রাখা উচিত নয়।
৪। ওয়াই-ফাই ব্যবহার না করলে ওয়াইফাই সংযোগ বন্ধ রাখুন। ফলে তড়িৎচুম্বকিয় তরঙ্গ বন্ধ হয়ে যায়, যা শিশুদের বিকাশের জন্য ক্ষতিকর।

(ওএস/এসপি/মে ১৮, ২০১৭)