আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবে সফর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার স্থানীয় সময় সকালে ট্রাম্প এবং তার স্ত্রী মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন বাদশাহ সালমান। খবর বিবিসির।

সৌদিতে আট দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় দিন রোববার ৪০টি মুসলিম দেশের নেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন ট্রাম্প। রাজধানী রিয়াদে আরব ইসলামিক আমেরিকান সম্মেলনে শান্তিপূর্ণ ইসলামের আশাবাদ বিষয়ে বক্তব্য দেবেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

সৌদি আরবের সঙ্গে মোট ৩৫ হাজার কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প জানিয়েছেন, সৌদি আরবে তার সফরের প্রথম দিনটি ছিল অসাধারণ।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতাগ্রহণের পর এটিই ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফর। এই সফরে মেলেনিয়া ছাড়াও ট্রাম্পের সঙ্গে রয়েছেন তার মেয়ে ইভাংকা ট্রাম্প, জামাতা জেয়ার্ড কুশনার এবং প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা। সৌদি সফর শেষে ইসরায়েল, ফিলিস্তিন, ব্রাসেলস, ভ্যাটিকান এবং সিসিলি সফর করবেন ট্রাম্প।

সৌদি সফরকালীর স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র চুক্তি। ওই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একক অস্ত্র চুক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস।

ট্রাম্প সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর থেকে দিনের বেশিরভাগ সময় তার সঙ্গেই ছিলেন বাদশাহ সালমান। সফরের প্রথম দিনে যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদিদের মধ্যে ১১ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

ওই চুক্তি সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানিয়েছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে সৌদি তার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইরানের হুমকি মোকাবেলা করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং অন্যান্য সহযোগিতা সৌদি আরব এবং পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলকে নিরাপত্তা দেবে। বিশেষ করে ইরানের ক্ষতিকর প্রভাবের মুখে এবং ইরান সম্পর্কিত যে হুমকি সৌদি আরবের সীমান্তের চারিদিকে অবস্থান করছে সে বিষয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফরকে যুক্তরাষ্ট্র এবং আরব ইসলামী দেশগুলোর সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

নির্বাচনী প্রচারণার সময় যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়ে বিতর্কিত হয়েছিলেন ট্রাম্প। ক্ষমতাগ্রহণের পর তিনি সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তার এই নিষেধাজ্ঞার কারণে মুসলিম দেশগুলোর নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবশে করতে পারছিলে না। পরে ওই নিষেধাজ্ঞা মার্কিন আদালত স্থগিত করে।

(ওএস/এএস/মে ২১, ২০১৭)